• চুরি রুখতে কলাগাছে তালা গোবরডাঙার গ্রামে
    বর্তমান | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: নিজের বসানো গাছে ফলেছিল প্রচুর কলা। কিন্তু তা চুরি হয়ে যাচ্ছিল। এবার সেই কলা চুরি আটকাতে একাধিক গাছে তালা ঝুলিয়ে দিলেন কৃষক। গাছের সঙ্গে বাঁশ বেঁধে টিন ও শিকল দিয়ে তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব শেষে কলার কাঁদি আটকে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের লোহার জালি। তাতেও দেওয়া রয়েছে তালা। এমন অভিনব দৃশ্য দেখা যাচ্ছে গোবরডাঙা থানার অন্তর্গত নকপুল কুচলিয়া গ্রামে।


    একটা সময় কুচলিয়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। ২০১৯ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। বাড়িতে ফিরে চাষাবাদের প্রতি ঝোঁক বাড়ে তাঁর। তাই, মাঠে চাষ করার পাশাপাশি কুচলিয়া গ্রামের রাস্তার পাশে বেশ কিছু কলাগাছ বসান তিনি। তবে সেইসব গাছ থেকে কলা তো বটেই, এমনকী মোচাও চুরি হয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাই, রফিকুল চুরি আটকাতে নিলেন অভিনব ভাবনা। গাছগুলিতে তালা দেওয়ার কথা ভাবেন তিনি। আর সেই ভাবনা থেকে কলা গাছের সঙ্গে বাঁশ বেঁধে তার সঙ্গে শক্ত করে টিন ও শিকল দিয়ে তালা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। টিনের সেই বেষ্টনীতে দেওয়া হয়েছে তিনটি তালা। আর কলার কাঁদি আটকে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে মোটা লোহার জালি। তাতেও ঝুলছে তালা।


    এক বা দু’টি নয়, কুচলিয়া গ্রামের রাস্তার পাশে পরপর লাইন দিয়ে কলাগাছে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। আর তা দেখে রীতিমতো অবাক পথচলতি সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ তো আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছেন। এনিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে গাছ থেকে কলা চুরি হয়ে যাচ্ছিল। তাই এই ভাবনা নেওয়া হয়েছে। এতে যথেষ্ট সাফল্য মিলেছে। হয় তো খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, কিন্তু নিজের চাষের গাছের কলা বলে কথা। তাই এর একটা আলাদা দাম রয়েছে। তাই ফল বাঁচাতে আমি লড়ছি।


    স্থানীয় বাসিন্দা রানি মণ্ডল বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে কলা চুরি আটকাতে রফিকুল ইসলামের এই ভাবনা আমরা দেখছি। বিষয়টি একটু অন্যরকমই লাগছে। আমাদের মনে হচ্ছে, নিরাপত্তার খরচ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। কারণ এতো যে সে নিরাপত্তা নয়, কলা চুরি আটকাতে একেবারে ত্রিস্তরীয় সুরক্ষার বলয়!
  • Link to this news (বর্তমান)