• সাগরদ্বীপের প্রাচীন বটগাছকে নদীর গ্রাস থেকে বাঁচানোর চেষ্টা প্রশাসনের
    বর্তমান | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: বহুদিন আগে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে সাগরদ্বীপের প্রাচীন ইতিহাস। সেই ইতিহাসের স্মৃতি স্বরূপ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি বটগাছ। এই গাছটিকে নদীর গ্রাস থেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে প্রশাসন। কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ওই বটগাছের চারদিক কংক্রিট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর থানার মন্দিরতলায় প্রাচীনতম নিদর্শনের খোঁজ পাওয়া যায়। হুগলি নদীর পাড়ে একটি অশ্বত্থ গাছ ছিল। ওই গাছের নীচে চুন-সুড়কি দিয়ে গাঁথা তিন দিক ঘেরা একটি প্রাচীরের সন্ধান পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেন, অতীতে এটি একটি মন্দির ছিল। এক সময় বহু প্রত্নতত্ত্ববিদ এখানে এসেছিলেন। তাঁরা বহু নিদর্শন সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন।


    এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ত্রিলোকেশ মাইতি বলেন, ‘এই এলাকা থেকে প্রাচীনতম বহু নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন পাথরের মূর্তি, শিলালিপি, পাথরের হাঁড়ি, কড়াই থেকে শুরু করে বিভিন্ন পাত্র, এমনকী, ফসিল পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। বহুদিন আগে এই ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি শিবলিঙ্গ উদ্ধার হয়। বর্তমান সেই শিবলিঙ্গটি স্থানীয় মন্দিরে রাখা হয়েছে।’


    সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, ‘বর্তমান বটগাছটি যেখানে রয়েছে, এক সময় তার থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে নদী ছিল। পাড় ভাঙতে ভাঙতে সেই নদী ক্রমশ এগিয়ে এসেছে। নদীগর্ভে চলে গিয়েছে সাগরদ্বীপের সেই প্রাচীন ইতিহাস। ওই ইতিহাসকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু নদীর তাণ্ডবে তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী ওই গাছটিকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)