বাঁশদ্রোণী থেকে গ্রেপ্তার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লালবাজারে
এই সময় | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
গ্রেপ্তার বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বাঁশদ্রোণী থেকে গ্রেপ্তার করা হল তাঁকে। এক পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার রাত থেকে ধরনায় বসেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ পুলিশের কয়েক জন আধিকারিক রূপাকে জানান, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরপর তাঁকে বাঁশদ্রোণী থানা থেকে সোজা লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রাত থেকেই ধরনায় বসেছিলেন রূপা। তাঁর দাবি ছিল, পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তদের ধরা হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি ধরনা চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক নবম শ্রেণির ছাত্র নিজের কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। সেই সেন্টারের সামনেই চলছিল রাস্তা সারাইয়ের কাজ। সেখানে থাকা এক পে-লোডার ওই ছাত্রকে ধাক্কা মারে। ছাত্রটিকে পিষে দেয় গাছের সঙ্গে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা বাঁশদ্রোণী এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এখানে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল। স্থানীয় কাউন্সিলরের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকে ওই এলাকায় দেখা মেলেনি স্থানীয় কাউন্সিলর অনিতা কর মজুমদারের। পাটুলি থানার ওসিকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ চালানো হয়। কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার প্রদীপ ঘোষালও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। বুধবার বিকালে কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ শহরতলি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত ঘটনাস্থলে গেলে ধরপাকড় শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডল-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাতেই রূপার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বাঁশদ্রোণী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুলিশের কাছে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। যদিও, এই ঘটনায় অভিযুক্ত পে-লোডার চালক এখনও পর্যন্ত পলাতক।