• ফুল নেই বৃষ্টিনষ্ট পদ্মবনে, মাথায় হাত চাষিদের! অগ্নিমূল্যেও মিলবে না কমলকলি?
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
  • কিরণ মান্না: সম্প্রতি অতিবৃষ্টি সঙ্গে বন্যা। এজন্য এবছর পদ্মের উৎপাদন যথেষ্ট কম। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, পাঁশকুড়া মহিষাদল-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক পরিমাণে পদ্মের চাষ হয়। ফি-বছর উৎপাদিত সেই পদ্ম ভিন রাজ্যে রফতানিও হয়। তবে এবছর বিভিন্ন জায়গায় অতিবৃষ্টি এবং বন্যার কারণে পদ্মের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে। যার ফলে পদ্মচাষিরা যথেষ্টই ক্ষতির মুখে।

    পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট, পাঁশকুড়া এলাকায় মেদিনীপুর ক্যানেলে ব্যাপক পরিমাণে পদ্মের চাষ হয়। তবে, এ বছর এই এলাকার পদ্মচাষিরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এবছর পদ্মের উৎপাদন যথেষ্ট কম, এমনই দাবি কোলাঘাট এলাকার অসংখ্য পদ্মচাষির। এ বিষয়ে 'সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতি'র সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক জানান, এ বছর পদ্মের উৎপাদন কম কারণ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ফুল ব্যবসায়ীরা পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশার পদ্মের উপর নির্ভর করবেন। অন্যান্য বছর পুজোর ১৫ দিন আগে থেকেই পদ্মচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন হিমঘরে পদ্ম মজুত করতেন। এ বছর তেমনটা সম্ভব হয়নি।  

    আসলে দুর্গাপূজার অষ্টমীতে ১০৮টি করে পদ্ম প্রয়োজন হয়। যে কারণে প্রতি বছরই অষ্টমীর দিনের ফুলবাজার যথেষ্ট চড়া থাকে। যে পদ্মের অন্য সময়ে দাম থাকে ১ টাকা থেকে ৫ টাকা, অষ্টমীর দিনে তারই দাম পড়ে ১৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা! 

    এদিকে, এ বছর পদ্মের উৎপাদন কম থাকায় পুজোর প্রায় সপ্তাহখানেক আগে থেকেই কোলাঘাট ও দেউলিয়া বাজারে পদ্মের দাম রীতিমতো চড়া। নারায়ণচন্দ্র জানান, এ রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধান,সব্জি এবং ফুল ক্ষতির মুখে পড়েছে। অন্যান্য ফুলের মতো পদ্ম ফুলও ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফলে পদ্মের দাম যে অগ্নিমূল্য হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)