জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা দশ নাগাদ মহকুমা হাসপাতালের দোতলার মেন ওটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। রোগীর পরিজন সে সময় যারা ছিলেন তারা দেখতে পান। ভিড় জমে যায়। ওটির পাশেই রয়েছে শিশু বিভাগ। সেখানে আতঙ্ক তৈরি হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
দমকল আধিকারিকরা জানান, হাসপাতালের দোতলায় ওটি রুমে এসির ইলেকট্রিক কেবলে আগুন লাগে। আগুনের ভয়াবহতা না থাকলেও ধোঁয়া খুব বেশি ছিল। যে কারণে একটা চাঞ্চল্য ছড়ায়। মিনিট কয়েকের মধ্যেই ভিতরে ঢুকে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গার্ডেনরিচে বিএনআর হাসপাতালে ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ড ঘটে। টনাস্থলে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা যায়, হাসপাতালে তিন তলায় একটি বিভাগে আগুন লেগে যায়। হাসপাতালের কর্মীরাই প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন। খবর দেওয়া হয় RPF জওয়ানদের। তাঁরা রোগীদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
অন্যদিকে, জানলা দিয়ে ফেলা জ্বলন্ত সিগারেট বা বিড়ির টুকরো থেকেই ভয়ংকর আগুন লাগে জলপাইগুড়িতে। অল্পের জন্য বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পায় জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধীন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের তৃতীয় তলায় জানলার পাশে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর তারাই নিরাপত্তা কর্মীদের খবর দেন। পরে হাসপাতালের ফায়ার প্রোটেকশন কর্মীরা আগুন নিভিয়ে দেন।