স্কুলে সাপের কামড়ে ছাত্রের মৃত্যু, 'ডেটল' লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
এই সময় | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
স্কুলের মধ্যেই সাপের কামড়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। কাটোয়ার কোশিগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। মঙ্গলবার স্কুল চত্বরে ওই ছাত্রকে সাপে কামড়ায় বলে তার পরিবারের দাবি। মৃতের পরিবারের লোকজন স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার স্কুলের গেটে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ মাঝি (১২)। কাটোয়ার কোশিগ্রামের বাঁধপাড়ায় তার বাড়ি। সাপে কাটার পর শিক্ষকরা চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা না করেই ক্ষতস্থানে 'ডেটল' লাগিয়ে দায় সাড়ে বলে পরিবারের অভিযোগ। তাদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাহুল পাণ্ডে জানান, সাপের কামড়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছে ছাত্রের পরিবার। তা ঘিরে বৃহস্পতিবার অশান্তি ছড়ায়। পুলিশ স্কুলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। ছাত্রের মৃত্যুর জেরে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়েছে বলেও খবর। তবে পরিবারে পক্ষ থেকে দুপুর পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ইন্দ্রজিৎ কিছু খেতে পারেনি। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ওই পড়ুয়া বমি করতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয় ওই ছাত্রের। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল খুলতেই স্কুলে জড়ো হয় অভিভাবকরা। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা।
প্রধান শিক্ষক পূর্ণেন্দু মাঝি সকালে বলেছিলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধের সময় আমরা জানতে পারি পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আমরা কেউ জানতে পারিনি যে, স্কুলের মধ্যে ওই ছাত্রকে সাপে কামড়েছে। এদিন ছাত্র-অভিভাবকরা প্লাকার্ড হাতে নিয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। একদল লোক আমার ওপর হামলা চালায়, স্কুলে ভাঙচুর করে।’