• মুদি দোকানে মেডিসিন! ৫৩ জাল ওষুধ বাজারে
    এই সময় | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
  • এই সময়, পুরুলিয়া: এ বার মুদি দোকানেও বিক্রি হবে ওষুধ। এমনই প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওভার-দ্য-কাউন্টার বা ওটিসি ওষুধগুলি এ বার ওষুধের দোকান ছাড়াও অন্যান্য মুদির দোকান বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যাতে পাওয়া যায়, সে ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে এ নিয়ে আট সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছে কেন্দ্র।যা নিয়ে সরব হয়েছে বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিসিডিএ)। তাদের মতে, এই উদ্যোগে সর্বনাশ হবে সাধারণ মানুষের। পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলিতে বহু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে যেখানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সংগঠনের তরফ থেকে। তাদের দাবি, ইতিমধ্যে বেশ কিছু ওষুধের নকল ছড়িয়ে গিয়েছে বাজারে।

    পুরুলিয়ায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের মুখপাত্র শঙ্খ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘শিডিউল কে’ তালিকাভুক্ত অ্যান্টিসেপটিক ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল, মাউথওয়াশ, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ক্রিম, কাশির লজেন্স, অ্যান্টি অ্যালার্জি, জ্বর-ব্যথা, নাকের স্প্রে, খুশকির শ্যাম্পু, কোষ্ঠকাঠিন্যের সিরাপ, অ্যান্টি-ব্যাক্টিরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক লোশন এবং গর্ভনিরোধক বিভিন্ন ওষুধ এ বার সাধারণ দোকান থেকে বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। ওই সমস্ত ওষুধ বিক্রির জন্য সংশ্লিষ্ট দোকানগুলির কোনও ড্রাগ লাইসেন্স প্রয়োজন হবে না।

    এমনকি, ওষুধগুলি কেনার জন্য কোনও প্রেসক্রিপশনেরও দরকার হবে না। ওই তালিকায় রয়েছে প্রায় ৪০০ ওষুধ।’ শঙ্খ বলেন, ‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে জাল ওষুধের রমরমা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্প্রতি খোলা বাজার থেকে বেশ কিছু ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে দেখা হয়। তার মধ্যে ৫৩টি ওষুধ জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ যাতে না নেয় তার জন্য দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে তাঁরা স্মারকলিপি দিয়েছেন বলেও জানান বিসিডিএ-র মুখপাত্র।

    অনলাইনে ওষুধ বিক্রি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওই সংগঠন। তাদের বক্তব্য, অনলাইনে অর্ডার করা যে ওষুধ বাড়িতে আসছে সেটি সঠিক কি না বা ঠিক মতো সংরক্ষণ করা হয়েছে কি না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সংগঠনের তরফ থেকে ওষুধের উপরে সব রকমের কর তুলে নেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)