চিকিৎসায় গাফিলতি, ফের আরজি করে হেনস্থার শিকার মহিলা চিকিৎসক
এই সময় | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়: ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে ৫৪ দিন। আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পথ ছাড়েননি প্রতিবাদী মানুষ। সেই আরজি কর হাসপাতালেই এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় সত্যরঞ্জন মহাপাত্র নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরে নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে। তারপরেও এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের নিরাপত্তা।জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, হাসপাতালের সুরক্ষায় এখনও বেশ কিছু গাফিলতি রয়েছে। যার জেরেই এই ধরনের ঘটনা। যতদিন না নিরাপত্তা মজবুত হচ্ছে, তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে বলে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাগর দত্ত হাসপাতালেও রোগীর আত্মীয়দের হাতে হেনস্থার অভিযোগ তোলেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। যার রেশ এখনও কাটেনি।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ পথ দুর্ঘটনায় আহত এক যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন আরও তিনজন। চিকিৎসার জন্য আহত ব্যক্তিকে বেশ কয়েকটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার ফলে তাঁর হাত দিয়ে রক্ত পড়ছিল। চিকিৎসা ঠিক মতো না হওয়ার কারণে এই ঘটনা বলে অভিযোগ তোলেন রোগীর এক আত্মীয়।
কর্তব্যরত এক মহিলা চিকিৎসককে এই কারণে গালিগালাজ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরজি কর হাসপাতালে থাকলে রোগীর ক্ষতি হবে এই কারণ দেখিয়ে আহত যুবককে নিয়ে অন্য হাসপাতালে চলে যান তাঁর আত্মীয়রা। পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে টালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই জুনিয়র মহিলা চিকিৎসক।
ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভির সূত্র ধরে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা, নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তার কথায়, ‘হাসপাতালের সুরক্ষা মজবুত করার জন্য যা যা করণীয় সবই করা হবে।’