এদিন সকালে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়ির সামনে একটি অটোর চাবি খুলে নেন সুশান্তবাবু। এর পর অটোচালক বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে সেখানে জড়ো হন বাকি অটোচালকরা। কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
অটোচালকদের অভিযোগ, ওই এলাকায় একটি শর্টকাট রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা অটোচালকদের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন কাউন্সিলর। সেই পথে গেলেই অটো চালকদের হেনস্থা করেন তিনি।
পালটা কাউন্সিলর সুশান্ত রায়ের দাবি, ওই এলাকায় পাশাপাশি টোটো ও অটো স্ট্যান্ড রয়েছে। টোটোর ও অটোর রাস্তা আলাদা করা রয়েছে। টোটোর রাস্তাটি ব্যবহার করে মধ্যমগ্রাম স্টেশনে দ্রুত পৌঁছনো যায়। অটোর রাস্তাটি একটু ঘুরে যায়। কিন্তু সুযোগ পেলেই টোটোর রাস্তায় ঢুকে পড়েন অটো চালকরা। তাদের বারবার সতর্ক করা হলেও কানে কথা তোলেননি। এদিন সকালে এক অটোচালককে বাধা দিলে তিনি আমার ওপর হামলা চালান।
পালটা টোটোচালকদের দাবি, কাউন্সিলর নিজে টোটো ইউনিয়নের সভাপতি। তাই টোটোচালকদের সুবিধা করে দিতে চান তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। তার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিজেপির দাবি, টাকার বখরা নিয়ে তৃণমূলের বিবাদ লেগেই থাকে। অটো টোটো রাস্তায় নামানোর জন্য তৃণমূল নেতাদের মোটা টাকা উৎকোচ দিতে হয়। সেই টাকার ভাগ নিয়েই বচসা।