এই হয়তো বোমা পড়ল! যুদ্ধের আবহে ইজরায়েলে আতঙ্কে দিন কাটছে বাংলার মানুষের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ অক্টোবর ২০২৪
আগে জীবন, ‘রিসার্চ পরে করতে পারব’- সংঘাতের আগুনে তপ্ত ইজরায়েল থেকে ফিরে এমনই কথা বললেন ব্যারাকপুরের এক গবেষক। তিনি ফিরে এসেছেন। কিন্তু দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন ইজরায়েলে থাকা অনেক ভারতীয়। আটকে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক ব্যক্তিও। আর তাঁদের প্রতিটা মুহূর্ত কাটছে প্রবল আতঙ্কের মধ্যে। সারাক্ষণ যেন একটা ভয় গ্রাস করে আছে - এই বুঝি নিজের বাড়ির কাছে বোমা পড়ল।
তেমনই একজন হলেন উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের ছেলে নীলাভ রায়চৌধুরী। সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর ইজরায়েলের সাফেদ থেকে তিনি বলেছেন, ‘দিনে-দিনে এখানকার পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠছে। দিনকয়েক আগে আমার এক বন্ধুর বাড়ি থেকে মেরেকেটে ১০০ মিটার দূরে একটি বোমা পড়েছে। ওর বাড়ির ছাদে যে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে, তাতে ওই দৃশ্য ধরা পড়েছে। বোমাটা ওর বাড়িতেও পড়তে পারত।’
ইজরায়েলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচ়ডি করার মধ্যেই মধ্যমগ্রামের ছেলে জানিয়েছেন, গত বছর ইজরায়েল-হামাস সংঘাত চলছিল, তখন তাতে তাঁরা বিশেষ ভয় পাননি। তেমন আমলও দেননি। কিন্তু এবার পরিস্থিতিটা একেবারে আলাদা বলে জানিয়েছেন মধ্যমগ্রামের ছেলে।
তাঁর মতোই আতঙ্কে ভুগছেন হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির পড়ুয়া শঙ্খনাভ কুণ্ডু। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলকাতার ছেলে জানিয়েছেন, যে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে, সেগুলিকে ‘ইন্টারসেপ্ট’ করে নিচ্ছে ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’। আর তীব্র শব্দ হচ্ছে। তার জেরে যে তীব্র শব্দ হচ্ছে, সেই আওয়াজে বিভীষিকা হয়ে উঠেছে জীবন। গত বছর ইজরায়েল-হামাস সংঘাতের সময় হাইফা সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু এবার হাইফার মানুষও আতঙ্কে ভুগছেন।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, শঙ্খনাভ জানিয়েছেন যে তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় দূতাবাস। তাঁদের সতর্কতা থাকতে বলা হয়েছে। সুরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রোটোকল মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। সেইসঙ্গে এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের মধ্যে যেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় না যান, সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এমনিতে আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। লেবাননে হিজবুল্লার ঘাঁটিতে বিধ্বংসী এয়ারস্ট্রাইক চালিয়ে ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে খতম করে দিয়েছে ইজরায়েল। আর তারপরই ইজরায়েলকে তাক করে মিসাইল ছুড়েছে ইরান। কমপক্ষে ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। তারইমধ্যে লেবাননে ‘অ্যাকশন’ চালাচ্ছে ইজরায়েল।