কী লিখলেন তিনি? বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক পোস্ট করে শান্তনু লেখেন, "আর জি কর মেডিকেল কলেজে All India Trinamool Congress এর ছাত্র সংগঠনের সভাপতি সেজে আমাদের নেত্রী ও নেতা Abhishek Banerjee এর নাম বদনাম করে দীর্ঘদিন নানা ধরনের দুর্নীতির নায়ক হয়ে থেকেছে এই আশিস পান্ডে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কারা কারা, তার মাথায় হাত রেখেছিল, সেটাও আজ সবারই জানা হয়ে গেছে। জুনিয়রদের ভয় দেখানো, ফেস্টিভ্যালের নামে টাকা তোলা, পরীক্ষায় পাশ ফেল নিয়ন্ত্রণ করা, প্রশ্ন বলে দেওয়া , হোস্টেলে হোস্টেলে রেগিং করা, বেআইনিভাবে হাউসস্টাফশিপ দেওয়া, সিনিয়ার ডাক্তারদের মারধর করা, প্রাক্তনীদের ঘরে তালা মেরে দেওয়া সহ বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতির নায়ক ছিল এই বিখ্যাত আশিস পান্ডে। তার বাকি কীর্তিকলাপ গুলো আর প্রকাশ্যে বললাম না।" অর্থাৎ আশিসের যে আরও দুর্নীতির কাজকর্ম রয়েছে সেই আঁচও দিয়ে রাখলেন তিনি। এখানেই থেমে যাননি। তিনি আরও লেখেন, "২০২৩ সালে সন্দীপ ঘোষের বদলির পর ডা: মানস ব্যানার্জিকে চারদিন অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকতে না দিয়ে বাইরে আটকে রেখেছিল এই আশিস পান্ডে ও তার সহযোগিরা। নিজেদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মী বলে তৃণমূলেরই সর্বোচ্চ নেত্রীর পাঠানো নতুন অধ্যক্ষকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি।"
শান্তনু সেন অভিযোগ কর লিখেছেন, তাঁর মেয়ের সাথেও দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে আশিস ও তার দলবল। তিনি লেখেন, "আমার মেয়েকে, যে ওই কলেজের ছাত্রী, তাকে ভয়ঙ্কর ভাবে মানসিক নির্যাতন করেছে দিনের পর দিন, রাত পৌনে বারোটার সময় ফোন করে হুমকি দিয়েছে, কলেজের মধ্যে এক ঘরে করে রেখেছে, পরীক্ষায় ফেল করানোর চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাকেও মারাত্মকভাবে অপমান করেছে , আমার নামে মিথ্যা পোস্টার মেরেছে, সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে মারতে এসেছে। আজ আবার প্রমাণ হলো এইসব খলনায়কদের বিচার যখন আমরা করতে পারিনা ,তখন ঈশ্বর বিচার করে দেন।"
এরপর তিনি আরও যোগ করেন, "আশা করি এখনো যারা এই আশিস পান্ডের মত আমাদের দলে থেকে তাদের কৃত কুকর্মের জন্য দলকে বদনাম করছে, অবিলম্বে তাদের চিহ্নিত করে দল তাদের বিচার করবে। (আমি বিশ্বাস করি, আমার দলনেত্রী সঠিক খবর পেলে কখনোই দুর্নীতির সাথে আপোষ করেন না।) যারা এদের মদত দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেন এবং দল ও দলনেত্রীকে ভুল খবর দেন ও দলের ক্ষতি করেন ,তারাও চিহ্নিত হবেন ।এবং যারা প্রকৃত অর্থে দলের ভালো চেয়ে প্রাণপাত করে কাজ করে যায় , তাদের সঠিক মূল্যায়ন হবে।"