• 'মাঝে মাঝেই এই ধরনের আজেবাজে কথা বলেন', রাজ্যপালকে কটাক্ষ ব্রাত্যের!
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ অক্টোবর ২০২৪
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: পরপর ২ দিন রাজ্যের বিরুদ্ধে দুই অভিযোগ! 'উনি মাঝে মাঝেই এই ধরনের আজেবাজে কথা বলেন, উদাহরণ দিয়ে বললে ভাল হয়'। রাজ্যপালকে সিভি আনন্দ বোসকে এবার পাল্টা কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বললেন, 'রাজভবনে বসে অনেক কিছুই হয়। আমরা জানি রাজভবনে কি কি হয়। এগুলো তারই সমার্থক'।

    ঘটনাটি ঠিক কী? 'খাদ্যের অভাবে'র পর 'অনাহারে মৃত্যু'! ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল। আজ, বৃহস্পতিবার সিভি আনন্দ বোস বলেন,  'বাংলায় অনাহারে মৃত্যু বাড়ছে।  এটা  খুবই উদ্বেগজনক। রাজ্যে সরকারকে অবিলম্বে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে'।

    এর আগে, গতকাল বুধবার গান্ধী জয়ন্তীতেএ রাজ্যের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপাল। ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, 'এমন এক পবিত্র দিনে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই দিনে আমাদের আত্মসমালোচনা করা উচিত। আমরা খবর পাই মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে। বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। কর্মসংস্থান কমে গিয়েছে। এরকম জিনিস সভ্য সমাজে ঘটা উচিত নয়। এমনটা গান্ধীজি চাননি। সরকারের উচিত দেখা যেন রাজ্য কেউ যান না খেয়ে না মারা যায়। এটাই আজ শপথ নেওয়া উচিত'।

    কী প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য়র বিভিন্ন জায়গায় আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে।  মুখ্যমন্ত্রী আমলে যেহেতু মানুষের রোজগার বলে কিছু নেই, মানুষকে ভাতা, দানধ্য়ানের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সবার তো সরকারি চাকরি হবে না, সেটা আমরাও জানি। কিন্তু মানুষের হাতে রোজগারের ব্যবস্থা হবে। অর্থনীতি দিনের পর দিন নিচের দিকে যাচ্ছে বাংলার। ভারতের অর্থনীতিতে বাংলার অবদান দিন দিন কমছে। ফলে রোজগারের সুযোগও কমছে।  অন্য রাজ্যে যেতে মানুষ বাধ্য হচ্ছে, যাঁরা যেতে পারছে না, তাঁরা চরম অনাহারের সম্মুখীন হচ্ছে"।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)