• দেবের ‘মিঠুন-প্রীতি’ নিয়ে প্রশ্ন কুণালের, কী জবাব সুপারস্টারের?
    প্রতিদিন | ০৪ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিঠুন-দেব-কুণাল ত্রিফলা ‘লড়াই’ জারি রইল খোলামেলা আড্ডাতেও। বৃহস্পতিবার ‘সংবাদ প্রতিদিন’ দপ্তরে পত্রিকার কনসাল্টিং এডিটর কুণাল ঘোষের সঙ্গে আড্ডায় উঠল সেই প্রসঙ্গ। সুপারস্টার তথা তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবকে কুণাল ঘোষের সরাসরি প্রশ্ন, ”দেখো ভাই, তুমি তৃণমূলের সাংসদ। অথচ তুমি মিঠুনের সঙ্গে সিনেমা করছো, তাঁকে সোশাল মিডিয়ায় চুমু পাঠাচ্ছো, এটা কেন? কী বার্তা যাচ্ছে সকলের কাছে?” তার জবাবে শান্তভাবে দেবের মন্তব্য, ”তোমার সব বন্ধু যেমন আমার বন্ধু নয়, তেমন তোমার সব শত্রুও আমার শত্রু নয়।”

    একে-অপরের বিরোধী রাজনৈতিক শিবির হওয়া সত্ত্বেও বরাবর রাজনীতির উর্ধ্বে দেব-মিঠুনের সম্পর্ক। ‘প্রজাপতি’ ছবিতে বাবা-ছেলের চরিত্রে দুজনের রসায়ন নজর কেড়েছিল। দর্শকরাও ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলেন পর্দার ‘বাবা-ছেলে’কে। এই সাফল্যের পর ভবিষ্যতে মহাগুরুর সঙ্গে আরও কয়েকটি সিনেমা করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন দেব। এনিয়ে দেবকে দলের অন্দরেই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে। তৃণমূলের মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষের সঙ্গে তিনি সোশাল মিডিয়া যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়েছে তাঁকে। এসবের মাঝে সোমবার, মিঠুন চক্রবর্তী ‘দাদাসাহেব ফালকে’ দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তাতে মিঠুনকে অভিনন্দন জানিয়েও অতীত মনে করিয়ে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। আর দেবের শুভেচ্ছাবার্তা ছিল ‘চুমু’ভরা।

    তা নিয়ে বৃহস্পতিবার ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর দপ্তরে কুণাল ঘোষের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় দেবকে এই ‘মিঠুন-প্রীতি’র প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল। তার জবাবও তিনি দিলেন একেবারে ‘দেব’সুলভ ভঙ্গিতে। মনে করিয়ে দিলেন বন্ধু-শত্রু-সৌজন্যের সমীকরণ। কুণাল ঘোষকে বার বার তিনি বললেন, ”মিঠুনদা তোমাকে কিন্তু খুব ভালোবাসে।” দেবের কথায় কুণালও জানালেন তাঁর সঙ্গে মহাগুরুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা। জানালেন, দাদা-ভাইয়ের সম্পর্কই ছিল তাঁদের। কিন্তু যেদিন দলনেত্রীকে, দলকে নিয়ে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী আক্রমণ করেছেন, এমনকী একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সরকার ফেলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তখন তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে তিনি চুপ করে বসে থাকতে পারেননি। এছাড়া অভিনেতা হিসেবে মিঠুনের অবদান অনস্বীকার্য এবং তিনিও তাঁর বড় অনুরাগী, তা বলেন কুণাল ঘোষ। অনেক দেরিতেই তিনি সর্বভারতীয় স্বীকৃতি পেলেন, আক্ষেপের সুরে তা বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। মিঠুনকে নিয়ে উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। সবশেষে উভয়েই স্বীকার করলেন, যে যার জায়গায় অভ্রান্ত।
  • Link to this news (প্রতিদিন)