এই সময়, বহরমপুর: কলাইয়ের জমিতে কাজ করার সময়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত হলেন মুর্শিদাবাদের দুই কৃষক। বুধবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সাগরপাড়া থানার চর কাকমারি এলাকায় বিএসএফ-এর কাছে আধার কার্ড জমা দিয়ে, খাতায় নাম লিখে জিরো পয়েন্ট এলাকায় চাষের জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন শোয়েব নবী শেখ ও আইনুল হক শেখ।একজনের বাড়ি রানিনগর থানার শিবনগর এলাকায়। অন্যজনের বাড়ি জলঙ্গি থানার সাহেবনগরে। দুপুরের পরে দু’জনে ‘উধাও’ হয়ে যান। পরিবারের দাবি, বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা ভারতের সীমানায় প্রবেশ করে তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়েছে। এর আগেও একাধিক বার এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে সাগরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আইনুলের বাবা আবদুল রহিম মিয়াঁ বলেন, ‘১০-১২ বিঘা জমিতে ছেলে কলাই লাগিয়েছিল। পদ্মায় জল বাড়ার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে কিনা, দেখতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা ওকে অপহরণ করে। বিজিবি ওকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানতে পেরেছি।’ আইনুলের স্ত্রী লাইলা বিবি বলেন, ‘প্রতিদিনই আমার স্বামী বিএসএফ-এর কাছে এন্ট্রি করে সীমান্তের জমিতে কাজে যায়। সন্ধ্যার আগে ফিরে আসে। কিন্তু বুধবার সকালে মাঠে যাওয়ার পরে থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরা ধরে নিয়ে গিয়েছে বলে অন্য কৃষকরা জানিয়েছে।’
বাংলাদেশের রাজশাহি জেলার ইউসুফপুর সীমান্ত চৌকির বিজিবির নিরাপত্তারক্ষীরা দুই ভারতীয়কে আটক করার কথা স্বীকার করেছেন। বিজিবির দাবি, ২ ভারতীয় বাংলাদেশের সীমানার অনেক ভিতরে ছিলেন। তাই তাঁদের আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশের চারঘাট থানার হেফাজতে তাঁদের রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। বিএসএফের পক্ষ থেকে তাঁদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করার অভিযোগে দুই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফ। অভিযুক্তরা হলেন রাজশাহী জেলার মানিকউদ্দিন ও মোফাজ্জল শেখ। বিএসএফ-এর অভিযোগ, অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার অপরাধে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুই বাংলাদেশিকে সাগরপাড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আজ, শুক্রবার তাঁদের বহরমপুর জেলা জজ আদালতে তোলা হবে। বি এসএফ-এর ডিআইজি এন কে পান্ডে বলেন, ‘পদ্মায় জলস্তর বাড়লেও বিএসএফ জওয়ানদের কড়া নজরদারি রয়েছে।’