• কাঁকসায় মতুয়াদের প্রথমবারের দুর্গাপুজো ঘিরে তুমুল উৎসাহ
    বর্তমান | ০৪ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: কাঁকসা ব্লকে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রথমবারের দুর্গাপুজো ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। ব্লকের রাজবাঁধ কলেজপাড়ায় এই প্রথম দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে। ১১ জন মহিলা এই পুজো পরিচালনা করবেন। উদ্যোক্তা স্বপন গোঁসাই বলেন, মতুয়া আচারে পুজো অনুষ্ঠিত হবে। সেই ভাবেই প্রস্তুতি চলছে। ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হবে। তিনি দাবি করেন, শুধু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নয়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু ভক্ত পুজোয় যোগদান করবেন। এদিন দেখা গেল প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। পুজোর সঙ্গে যুক্ত হৈমন্তী হালদার বলেন, আমাদের গ্রামে এবারেই প্রথম দুর্গাপুজো হচ্ছে। আমরা সকলেই ভীষণ উৎসাহী। এই বছর মনসা পুজোর সময় দুর্গাপুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মতুয়া সম্প্রদায়ের রীতি মেনে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বাজনা বাজিয়ে কলাগাছ থেকে কাঁদি কেটে আনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফুল ও অন্যান্য কেনাকাটার কাজ চলছে। গৃহবধূ পুতুল বৈরাগী বলেন, পুজো শুরু করায় দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবে পুজোর প্রস্তুতিতে খামতি রাখতে তাঁরা নারাজ। পুজোয় কে কোন দায়িত্ব পালন করবেন তাও ইতিমধ্যে ঠিক হয়েছে। সকলেই চাইছেন সুষ্ঠুভাবে পুজো সম্পূর্ণ করতে। স্বপন গোঁসাই দাবি করেন, ১৪৭ বছর আগে বর্তমান বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে গুরুচাঁদ ঠাকুরের নির্দেশে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময়ে তৎকালীন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি হবে? শিষ্যের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি দুর্গাপুজো করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্বপনবাবু বলেন, মহিলারাই এই পুজোর মূল দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন। মায়ের ভোগ রান্না থেকে শুরু করে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ সবকিছুই মহিলারা করবেন। পুজোর খরচ কীভাবে উঠবে তা নিয়ে প্রথম দিকে চিন্তা থাকলেও পরে এগিয়ে আসেন ভক্ত ও শিষ্যরা। প্রতিমা শিল্পী জানান, মূর্তি তৈরির কাজ একদম শেষের দিকে। রাজবাঁধের এই পুজো ঘিরে মতুয়া সম্প্রদায়ের উৎসাহ তুঙ্গে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)