• পুজোর পোশাক কিনে দেননি স্বামী মনোমালিন্যের জেরে আত্মঘাতী বধূ
    বর্তমান | ০৪ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বর্ধমান: পুজোয় জামাকাপড় না কিনে দেওয়ায় দেওয়ানদিঘি থানার দাসপুরে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহবধূ। বুধবার সকালে রান্নাঘরে বাঁশের কাঠামোয় গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতার নাম গৌরী মাঝি(১৮)। গলসি থানার লোহা–সন্তোষপুরে তাঁর বাপেরবাড়ি। বছর দু’য়েক আগে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর একটি পুত্রসন্তান আছে। ঘটনার দিন সকালে গৌরী তাঁর স্বামীকে পুজোয় জামাকাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলেন। স্বামী তাঁকে আগামী রবিবার কিনে জামাকাপড় কিনে দেওয়ার কথা জানান। এতে গৌরী রাজি না হয়ে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার মামাশ্বশুর বাপি রায় বলেন, ঘটনার দিন ভাগ্নেকে বউমা জামাকাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে। ভাগ্নে বউমাকে বর্ধমানে দিদির বাড়ির সামনে বসা হাট থেকে জামাকাপড় কিনে দেওয়ার কথা জানায়। এতে বউমা রাজি না হওয়ায় দু’জনের মনোমালিন্য হয়। তারপরেই এই ঘটনা। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।


    আত্মঘাতী বধূ: কিস্তির টাকা জোগার করতে না পেরে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘরে অ্যাসবেসটসের কাঠামোয় দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতার নাম শম্পা আচার্য(৩৭)। খণ্ডঘোষ থানার তাঁতিপাড়ায় তাঁর বাড়ি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ছোটমেয়ের জন্য তিনটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ১লক্ষ ৭০হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে দু’টি ব্যাঙ্কে মাসিক কিস্তি ও একটি ব্যাঙ্কে সাপ্তাহিক কিস্তি। ঘটনার দিন একটি ব্যাঙ্কে কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কিস্তির টাকা জোগাড় করতে পারেননি তিনি। মৃতার স্বামী বাপি আচার্য বলেন, ছোট মেয়ের বিয়ের জন্য তিনটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। এদিন সকালে একটি ব্যাঙ্কে কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কিস্তির টাকা জোগাড় হয়নি। এর ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে শম্পা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিস।


    ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু: আউশগ্রাম থানার সুয়াতা গ্রামে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ছাদের অ্যাঙ্গেলে জলের পাইপ দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের নাম অনুপম মণ্ডল(৩৭)। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান। তবে, তাঁর আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধন্দে পরিবারের লোকজন।


    কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী: ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম জিৎ মাঝি(১৯)। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘরে তিনি কীটনাশক খেয়ে নেন বলে দাবি পরিবারের। তাঁকে গুসকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু জানাতে পারেননি পরিবারের লোকজন।


    ড্রেন বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার: মেমারি থানার বাগিলায় ড্রেন থেকে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বুধবার দুপুরে বাগিলা পার্কিংয়ের কাছে একটি ড্রেনে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের নাম মহেন্দ্র ঘোষ(৭৫)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বহু খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর হদিশ মিলছিল না। এদিন খুঁজতে খুঁজতে পার্কিংয়ের ড্রেনের কাছে গিয়ে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিস।


    লরির ধাক্কায় মৃত্যু: খণ্ডঘোষ থানার গোলা গ্রামে লরির ধাক্কায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম উজ্জ্বল সাঁতরা(৫৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিস লরিটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)