সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা সরকার দেবনাথ। এদিন কোচবিহার জেলা পার্টি অফিসে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। বিজেপির গড় বলে পরিচিত ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির। ফলে গত লোকসভা নির্বাচনের পর দলবদলে সবচেয়ে বড় চমক দিল শাসকদল। তবে এই দলবদল নিয়ে কিছুটা নিশ্চুপ বিজেপি শিবির। তৃণমূলের দাবি, এদিন শুধু প্রধান নয়। তাঁর সঙ্গে এক পঞ্চায়েত সদস্যও তৃণমূলে যোগদান করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘোকসাডাঙা পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে ১০টিতে বিজেপি ও আটটিতে তৃণমূল জয়ী হয়। বর্তমানে প্রধান ও এক পঞ্চায়েত সদস্যের যোগদানের ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১০। আর বিজেপির ৮।
মাথাভাঙা-২ ব্লকে বিজেপির একাধিক হেভিওয়েট নেতারা বার বার জনসভা করেছেন ঘোকসাডাঙায়। বিজেপির মাথাভাঙা বিধানসভার বিধায়ক সুশীল বর্মনের বাড়িও পাশের গ্রাম পঞ্চায়েত লতাপোঁতায়। ফলে বিজেপির বিধায়কের নাকের ডগায় এবার দলবদল করে গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করল তৃণমূল। অপরদিকে, দু’দিন আগে বড়শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। পরেরদিন তৃণমূল সদলবলে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসেও যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে। যদিও বুধবার রাতে একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আবারও বিজেপিতে চলে যায়। ফলে দলবদল, পাল্টা দলবদল ঘিরে এখন সরগরম মাথাভাঙা-২ ব্লক। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন বলেন, বিজেপির কিছুই থাকবে না। মানুষ উন্নয়ন চায়, বিজেপির ভাঁওতাবাজি সবাই বুঝে গিয়েছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করা ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা সরকার দেবনাথ বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে আমি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম।