• ‘পুজোয় তো বন্ধ থাকবে ওপিডি, যত সময় লাগুক আজই দেখাব’, আর জি করে লাইনে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ হার্টের রোগীর
    বর্তমান | ০৪ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ওপিডি হোক বা ইমার্জেন্সি, কোথাও দেখা নেই জুনিয়র ডাক্তারদের। ফলে বৃহস্পতিবার দিনভর সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হল রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। এদিন সকাল থেকে আর জি কর হাসপাতালের ওপিডিতে লম্বা লাইন পড়েছিল। সেই লাইনে দাঁড়িয়েই জুনিয়র ডাক্তারদের ফের কর্মবিরতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন রোগীরা। বসিরহাটের বাচ্চু কাহালি বলেন, ‘কী করব বলুন? সামনে তো পুজো। তখন ওপিডি বন্ধ। তাই যেভাবেই হোক, আজকে ডাক্তার দেখাতেই হবে। যতক্ষণ দাঁড়াতে হয়, দাঁড়াব।’ বাচ্চু পেশায় একজন টোটোচালক। তাঁর হার্টের সমস্যা। মাঝখানে টানা ৪০ দিনেরও বেশি কর্মবিরতি চলায় ডাক্তার দেখাতে আসেননি। তাঁর কথায়, ‘কতদিন এভাবে থাকব বলুন? পুজোর সময় যদি কিছু হয়ে যায়, তখন তো কোথাও কাউকে পাব না। আমাদের সমস্যা কেউ দেখছে না।’ লাইনে তাঁর পরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন হাবড়ার ছোট ব্যবসায়ী অনিল কুণ্ডু। প্রতি মাসে হার্টের ডাক্তার দেখাতে আসেন আর জি করে। তিনি বলছিলেন, ‘আগের দিন কলকাতায় এসে আত্মীয়র বাড়িতে ছিলাম। হাসপাতাল বন্ধ থাকলে আমাদের সমস্যার শেষ থাকে না। সেই সকাল ৬টায় বেরিয়েছি। এখন ১টা বাজে।!’ ওপিডির মতোই ভোগান্তি ধরা পড়ল আর জি করের জরুরি বিভাগে। ইদ্রিশ সেলিম মুক্তির বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বর। স্থানীয় চিকিত্সককে দেখিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাই বাড়ির লোক তাঁকে আর জি করে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর বউদি জায়েদা বিবি বললেন, ‘আমরা চাষবাস করে খাই। ২ হাজার টাকা গাড়িভাড়া করে হাড়োয়া থেকে এসেছি। প্রথমে জরুরি বিভাগ। তারপর ওপিডিতে দেখালাম। এখন বলছে রক্তপরীক্ষা করাতে। সেখানে গেলাম, বলছে কাল আসতে। আমরা কি আবার ২ হাজার টাকা খরচ করে আসব?’ অগত্যা তাঁরা এনআরএস হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)