বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় পে-লোডার চালকের পাশাপাশি গ্রেপ্তার মালিকও
এই সময় | ০৪ অক্টোবর ২০২৪
বাঁশদ্রোণীতে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পে-লোডার চালকের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হল গাড়ির মালিককেও। পে-লোডারের মালিকই দুর্ঘটনার পর চালককে পালাতে সাহায্য করে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পেরেছে পুলিশ।শুক্রবার কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, 'কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় বাঁশদ্রোণী থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারায় মামলা রুজু হয়। বৃহস্পতিবার দমদম এবং চিৎপুর সীমান্ত থেকে দুই জনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন পে-লোডার চালক শম্ভু রাম এবং অপরজন পে-লোডারের মালিক বিশ্বকর্মা শর্মা। জেরার পর জানা গিয়েছে, পে-লোডারের মালিক ঘটনার পর চালককে পালাতে সাহায্য করে। তাঁকে লুকিয়ে রাখার জন্য অন্যতম ভূমিকা ছিল বিশ্বকর্মার। পরে ওই দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মহালয়ার দিন কলকাতা পুরসভার ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল বাঁশদ্রোণীর দীনেশনগর এলাকা। পুলিশকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশকে নিগ্রহের ঘটনায় একাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে বলেও জানান বিদিশা কলিতা। ভিডিয়ো ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। ছাত্রমৃত্যু এবং পুলিশি হেনস্থা নিয়ে মোট পাঁচটি মামলা বাঁশদ্রোণীর ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের নিগ্রহ নিয়েও ২টি মামলা রয়েছে। সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন সকালে বাঁশদ্রোণীতে পে-লোডারের ধাক্কায় গাছের সঙ্গে পিষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল, রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রের পরিবার দোষীর শাস্তির দাবি করে।