'আরজি করের ঘটনা চেপে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল', দাবি CBI-এর
এই সময় | ০৪ অক্টোবর ২০২৪
আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে শিয়ালদহ আদালতে অভিযোগ জানাল সিবিআই। শুক্রবার টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আদালতে তোলা হয়। দু'জনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।শুক্রবার সিবিআই দাবি করে, 'সন্দীপ এবং অভিজিতের মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু ফোন কল গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে এই ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল।' সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটারি (সিএফএসএল) রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর তা জানিয়েছে সিবিআই।
পাশাপাশি আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে হত্যার ঘটনা কেন আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আদালতে জানায় সিবিআই। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে প্রথমে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তারপর তাকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায়ের ভূমিকা, ষড়যন্ত্রে তার কোনও যোগাযোগ ছিল কি না বা তাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রেও কী তথ্য উঠে আসছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে হলে জানাচ্ছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে সিবিআই আদালতে জানায়, এই নৃশংস ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে কোনওভাবে প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে বলে আদালতে জানায় সিবিআই।