হাতে আর বেশি সময় নেই। আর পাঁচদিন পরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে সাজ সাজ রব। শহর থেকে গ্রামবাংলা দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে চূড়ান্ত ব্যস্ত। একের পর এক দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে অটো ভাড়া দেওয়া নিয়ে চালকের সঙ্গে যাত্রীর বিবাদ চরমে উঠল। আর সেটা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে গেল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। যা দেখে শিউরে ওঠেন অনেকে।
খাস কলকাতায় অটো চালকের উপর হামলার অভিযোগ উঠল যাত্রীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আজ, শুক্রবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল টালিগঞ্জ রেল স্টেশন এবং মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। যাত্রীর মারে মাথা ফাটল অটোচালকের। রক্তে ভেসে গেল অটো এবং রাস্তা। শিউরে উঠলেন মানুষজন। এমন নির্মম আক্রমণ কোনও যাত্রী করতে পারেন তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দক্ষিণ কলকাতার বুকে আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ অভিযুক্ত যাত্রী বচসার সময় যেভাবে আক্রমণ করলেন তাতে অটোচালকের প্রাণ পর্যন্ত চলে যেতে পারত। যদিও ওই যাত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, খুচরো টাকার সমস্যা নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত শুরু হয় যাত্রী এবং অটোচালকের মধ্যে। সেখান থেকেই বচসা এবং রক্তারক্তির ঘটনা ঘটে। টালিগঞ্জে মহানায়ক উত্তমকুমার মেট্রো স্টেশনের মূল গেটের ঠিক বাইরে এই রক্তারক্তির ঘটনা ঘটে। এক যাত্রী অটো থেকে নেমে চালককে ৫০০ টাকার নোট দেন। তখন অটোচালক ওই যাত্রীকে বলেন, ‘১৫ টাকার ভাড়াতে ৫০০ টাকার খুচরো দেওয়া যাবে না।’ আপত্তি করেন অটোচালক। এই নিয়েই তাঁদের দু’জনের মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। ঝামেলা চলাকালীন ওই যাত্রী বলে ওঠেন, ‘জানিস আমি কে? আর সঙ্গে তুই পাঙ্গা নিয়েছিস জানিস?’ এরপরই হঠাৎ ওই যাত্রী অটোতে যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা লোহার রড নিয়ে আঘাত করেন অটোচালকের মাথায়।
এরপর অটোচালকের মাথা থেকে গলগল করে রক্ত বের হতে থাকে। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন ওই অটোচালক। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই যাত্রী তখন ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেওয়ার প্রস্তুতি নিলে ধরে ফেলেন বাকি যাত্রীরা। মেট্রো স্টেশনের সামনে এমন শোরগোল শুরু হওয়ায় সেখানে আসে রেল পুলিশ। তার পরে স্থানীয় থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অটোচালক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়। আর ওই যাত্রীকে কড়া শাস্তি দেওয়ার দাবি তোলা হয়।