• ‘‌দুর্গাপুজোয় কোথাও কোনও বাধা সৃষ্টি হবে না’‌, কড়া নিরাপত্তার তথ্য দিলেন নগরপাল
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ অক্টোবর ২০২৪
  • হাতে আর বেশি সময় নেই। আর পাঁচদিন পরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে সাজ সাজ রব। শহর থেকে গ্রামবাংলা দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে চূড়ান্ত ব্যস্ত। একের পর এক দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর দুর্গাপুজোর সময় শহরে যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয়, সাধারণ মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ঠাকুর দেখতে পারেন, তার সব ব্যবস্থাই করা হয়েছে বলে জানালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তিনি জানান, কোনও অসুবিধা হলে হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চাওয়া যাবে। ট্রাফিক–সহ সব ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    এদিকে এই বছর গোটা কলকাতা শহরে ২৯০৫টি দুর্গাপুজো আছে। তার মধ্যে ২৫৮টি জনপ্রিয় দুর্গাপুজো রয়েছে। ট্র্যাফিক থেকে ১৮ জন এসিপি, ১০৪ জন ইন্সপেক্টর, ৫৫০ জন সার্জেন্ট সাব ইন্সপেক্টর, ৩৬০০ জন ট্র্যাফিক কনস্টেবল থাকবেন। ডিজিটাল গাইড ম্যাপ থাকবে। ট্র্যাফিক গাইড লাইনে হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া থাকবে। আজ, শুক্রবার আইওসি গাইড ম্যাপ উদ্বোধন করা হল। এটা ডিজিটাল আপলোড করা হচ্ছে। গত দু’‌মাস ধরে কলকাতায় যেভাবে প্রতিবাদে, আন্দোলনে তপ্ত হয়েছে তাতে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে। দুর্গাপুজোর সময় প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হলে পুলিশের পদক্ষেপ কেমন হবে? ওঠে প্রশ্ন। জবাবে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, ‘‌সব ব্যবস্থা করা আছে। দুর্গাপুজোয় কোথাও কোনও বাধা সৃষ্টি হবে না।’‌


    অন্যদিকে চিলড্রেন্স আইডি ব্যাজের মাধ্যমে কোনও বাচ্চা যদি হারিয়ে যায় তাহলে নিকটবর্তী পুলিশ ক্যাম্পে যোগাযোগ করলে তাড়াতাড়ি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে বলেও জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৫৪০০ জন অস্থায়ী হোমগার্ড রাস্তায় মোতায়েন করা হবে। থাকবে মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর। তার জন্য চালু দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা। এই বিষয়ে নগরপালের আবেদন, ‘‌দুর্গাপুজোয় শান্তি বজায় রাখার জন্য সবাই সহযোগিতা করবেন।’‌ সিসিটিভি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা হচ্ছে দুর্গাপুজোর সময়।

    এছাড়া বেশ কয়েকবার খতিয়ে দেখা হয়েছে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে নিরাপত্তার প্রস্তুতি। প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের বিশাল বাহিনী থাকবে। এই বিষয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার বক্তব্য, ‘‌দুর্গাপুজো গোটা বিশ্বে একটা বড় উৎসব। ইউনেস্কো এটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশ–বিদেশ থেকে অনেকে আসেন। সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা এটিকে প্রত্যেকবার সফল করে তুলি। এবারও আশা করি তাই হবে। সমস্ত দুর্গাপুজো মণ্ডপ সাহায্য করবে। ট্র্যাফিকের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ সবথেকে বেশি হয়। তারাই দুর্গাপুজোতে সব থেকে বেশি কাজ করেন। আমরা আশা রাখছি এবারও আমাদের ট্র্যাফিক উইং তাদের দিক থেকে সমস্ত সাহায্য করবে। যদি কারুর অসুবিধা হয় তারা দেখবেন বিষয়টি। দুর্গাপুজোতে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ একদম প্রস্তুত।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)