ভিড়ের অংশ না হয়েই পুজোর আমেজ নিন বাড়িতে বসে, ছুটির চার দিন কী কী করতে পারেন?
আনন্দবাজার | ০৪ অক্টোবর ২০২৪
উৎসব অনেকেই ভালবাসেন। কিন্তু উৎসবের অনুষঙ্গে আর যা যা পাওনা হয়, তা কেউ পছন্দ করেন, কেউ করেন না। যেমন, দুর্গাপুজো এলে বাঙালির মন ভাল হয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু পুজোর ভিড় আর ভোগান্তি মেনে নিতে পারেন না অনেকেই। তা বলে কি সব ছেড়েছুড়ে চার দিনের পুজোর ছুটিতে পরিবারকে নিয়ে দূরে চলে যাবেন? তবে তো পুজো পুজো গন্ধটাও মাটি! বাড়িতে বসে ভোগের খিচুড়ি, বাগানে শিউলি ফুলের সুবাস, কোনও বারোয়ারি পুজোর মাইকে শোনা ঢাকের আওয়াজ, অষ্টমীর অঞ্জলির মন্ত্রোচ্চারণ— সেই সবও কানে আসবে না। এমন নানা কথা ভেবে পুজোর চার দিন, কী করবেন, কী করবেন না ভেবে যাঁরা এখনও দোটানায় ভুগছেন বা যাঁদের পক্ষে নানা কারণে বাড়ির বাইরে পা রাখাই সম্ভব নয়, তাঁরা পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাবেন কী ভাবে? রইল চার উপায়। যাতে বাড়িতে বসেও পরিবারের সঙ্গে দুর্গা পুজোর মুহূর্তগুলি সুন্দর করে তুলতে পারেন।
১। হাতের কাজ
চার দিনের একটা দিন রাখুন নানা রকম হাতের কাজের জন্য। ধরা যাক, ষষ্ঠীর সকালের কয়েকটা ঘণ্টা। প্রাতরাশ থেকে মধ্যাহ্নভোজের সময় পর্যন্ত। ওই সময়টুকু সপরিবারে নানারকম উৎসবের ভাবনা থেকে তৈরি জিনিস তৈরি করুন। মাটি, কাগজ বা পিজবোর্ড দিয়ে দুর্গা মূর্তি গড়তে পারেন। কাগজ দিয়ে সাজানোর জিনিসও তৈরি করতে পারেন। খেলা আরও জমে উঠতে পারে যদি সেরা কাজের কোনও পুরস্কার থাকে। তা সে যত ছোটই হোক না কেন, পুরষ্কার পাওয়ার আনন্দই আলাদা।
২। নাটক
সপ্তমীর সন্ধ্যায় বরং পরিকল্পনা থাকুক নাটকের। দুর্গাপুজোর গল্প সবারই জানা। চরিত্রগুলোও চেনা। পরিবারের সদস্য সংখ্যা কত দেখে নিয়ে প্রত্যেকে নিজেদের জন্য একটি করে চরিত্র বেছে নিন। এ বার মহিষাসুর বধের কাহিনির কোনও একটি অংশ নাটকের মতো মঞ্চস্থ করুন। না-ই বা থাকল দর্শক। মোবাইলে রেকর্ড করে রাখুন। চাইলে পরে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে ভাগও করে নিতে পারেন।
৩। রান্নাবান্না
অষ্টমী-নবমী এ বার এক দিনে। ওই দিনটা থাকুক বরং রান্নাবান্নার জন্য। সারা দিনের জম্পেশ মেনু তৈরি করুন। বাড়ির ছোট্ট সদস্যটিকেও কিছু না কিছু কাজ দিন। সন্ধ্যায় বাড়ির বাগানে বা ছাদে শামিয়ানা খাটিয়ে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হোক। ছোট্ট করে পিকনিক হয়ে যাবে।
৪। গল্পের আসর
দশমীর দিন বিদায়ের সুর। আবার এমন একটা দিন পেতে এক বছরের অপেক্ষা। শেষ দিনটায় বসান গল্পের আসর। প্রত্যেকেই গল্প বলবেন দুর্গাপুজো নিয়ে। তা পুরাণের গল্প হতে পারে। নিজের বানানো গল্প হতে পারে আবার কোনও বাস্তব অভিজ্ঞতাও হতে পারে। বইতে পড়া চেনা-অচেনা গল্পও হতে পারে। গল্পকে আরও নাটকীয় করে তুলতে ছবি ব্যবহার করা যেতে পারে। অভিনয়ও করা যেতে পারে। কে কত সুন্দর করে গল্প বলছেন, তা নিয়ে হোক প্রতিযোগিতা।