পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ‘নান্দনিক’ ক্লাবের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ওই ক্লাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত অধিকারী পরিবার। অধিকারীদের আমন্ত্রণে শুক্রবার বিকেলে নান্দনিকের পুজোমণ্ডপের ফিতে কাটেন রাজ্যপাল বোস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কাঁথির প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রবীণ রাজনীতিক শিশির অধিকারী। পুজোর উদ্বোধনীমঞ্চ থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের বিচারের দাবি তোলেন শিশির। আর পুজো উদ্বোধনের পর রাজ্যপালের উক্তি, ‘‘ভগবান রাজ্যের জনগণের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীরও মঙ্গল করুন।’’
আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে উৎসব নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রাজ্যবাসী। কেউ জানাচ্ছেন, বিচার-না পাওয়া পর্যন্ত উৎসবে ফিরবেন না। কেউ বলছেন, ‘উৎসবে নয়, পুজোয় আছি’। বেশ কিছু জায়গায় পুজোর আড়ম্বরের মাঝেও ঘুরে ফিরে আসছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’-এর দাবি। কাঁথির ‘নান্দনিক’-এর পুজো উদ্বোধনের মঞ্চেও উঠে এল বিচারের দাবি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পিতা প্রাক্তন সাংসদ শিশির বলেন, ‘‘কাঁথির পবিত্র মাটিতে বহু গুণী মানুষ জন্মেছেন। ব্রিটিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি। এখান থেকে আরজি-কর কাণ্ডের বিচার চাইছি। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা বাংলা তো বটেই, সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ওই নারকীয় ঘটনার কঠোরতম শাস্তি চাই।’’ রাজ্যপাল পুজো উদ্বোধনের পর বলেন, ‘‘আমি বাংলা ভালবাসি। বাংলাভাষা ভালভাসি। মা-বোনেদের দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’ পর ক্ষণেই বোসের সংযোজন, ‘‘দুনীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। হিংসা শেষ করব।’’
পূর্ব মেদিনীপুরের বড় বাজেটের পুজোর কমিটির মধ্যে অন্যতম ‘নান্দনিক’ ক্লাব। এ বার সেই পুজো ৪৫তম বছরে পা দিয়েছে। ক্লাবের অন্যতম কাঁথি লোকসভার সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী। রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শিশির-সহ তমলুক লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এ বার নান্দনিকের পুজোর ‘থিম’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতের নাগেশ্বরী মন্দির। ওই মন্দিরের আদলে সাজানো হয়েছে প্যান্ডেল।