এই সেতু নির্মাণ হওয়ায় দূরত্ব কমেছিল সিংটাম চা বাগান ও পুলবাজার-বিজনবাড়ি এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হয়েছিল। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সেই সেতুর একাংশই বৃহস্পতিবারই জলের তোড়ে ভেঙে যায়। পরে সেতুটিকে রক্ষা করতে উদ্যোগ নেয় স্থানীয়রাই। খরস্রোতা নদীতে নেমে সেতুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চালান তাঁরা। তবে জল না থামলে স্থায়ীভাবে এটিকে সংস্কার করা সম্ভব নয় বলে জানা গিয়েছে।
ঘূর্ণাবর্তের জেরে গত কয়েকদিন দার্জিলিং পাহাড়ে প্রবল বর্ষণ চলছে। এর জেরে ধস নেমেছে একাধিক জায়গায়। বুধবার রাতে দার্জিলিং রক গার্ডেন যাওয়ার রাস্তায় ধস নেমে যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এরপরেই সিংটামে ধসের খবর সামনে আসে। সেই ধসে মৃত্যু হয়েছে ১ বৃদ্ধের।
অন্যদিকে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ির চমকডাঙ্গি গ্রাম। ডাবগ্রাম ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এক প্রান্তে তিস্তা নদীর চরে প্রায় ১০০ বছর আগে গড়ে ওঠে এই জনপদ। গত বছর পাহাড়ি জলের স্রোতে গ্রামটির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু এবছর নদী ভাঙনে কার্যত নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে এই গ্রামটি। প্রশাসনের নির্দেশে বর্তমানে স্থানীয়দের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। গতকাল থেকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে পরিবারগুলিকে।