সুব্রত বিশ্বাস: পুজোর তিনদিন রাতভর ঠাকুর দেখতে পাবেন নিশ্চিন্তে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে রাতভর ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর দিন গভীর রাতে ট্রেনগুলি চলবে হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে। আর রেলের এই খবরে স্বভাবতই খুশি পুজোপ্রেমীরা। ঠাকুর দর্শনে রাত হলেও ট্রেনে চড়ে দিব্য়ি বাড়ি ফেরা যাবে।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর দিনগুলোয় হাওড়া থেকে দশটি ট্রেন বধর্মান মেন, কর্ড, ব্যান্ডেল ও শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বরের মধ্যে সারারাত চলবে ১০টি ট্রেন। অন্যদিকে, শিয়ালদহ ডিভিশনে রানাঘাট, কল্যাণী, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, ডানকুনি, বারুইপুর ও বজবজ লোকাল চলবে গভীর রাতেও। হাওড়া থেকে বর্ধমানের (মেন) ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১২.৪৫এ। বর্ধমান থেকে হাওড়া আসার ট্রেনটি ছাড়বে রাত ৯.৪০ মিনিটে। হাওড়া থেকে কর্ডের ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১.১৫ নাগাদ। সেখান থেকে হাওড়ার ট্রেন ছাড়ার সময় রাত সাড়ে ১০টা। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলের ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১টায়। ব্যান্ডেল থেকে হাওড়ার ট্রেন ছাড়বে রাত সাড়ে এগারোটার সময়। শেওড়াফুলি থেকে তারকেশ্বরের ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১২.২৫ মিনিটে। তারকেশ্বর থেকে হাওড়াগামী ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১টা ১৫এ। হাওড়া থেকে আরও একটি ট্রেন রাত ১.৫০ মিনিটে মেন লাইন দিয়ে বর্ধমান যাবে।
এদিকে রাতে শিয়ালদহ ডিভিশনেও থাকছে অতিরিক্ত বেশ কয়েকটি ট্রেন। পূর্ব রেল সূত্রে খবর থেকে রানাঘাটের শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১২.৪০ মিনিটে। সেখান থেকে রাত ১১.৪৫ ও রাত ২.৩০এ ছাড়বে শিয়ালদহ লোকাল। শিয়ালদহ থেকে কল্যাণী লোকাল ছাড়বে রাত দেড়টার সময়। কল্যাণী থেকে ২.৫০ সময় ছাড়বে শিয়ালহের ট্রেন। রানাঘাট থেকে ১১টা ৪৫-এ ছাড়বে কৃষ্ণনগর লোকাল। কৃষ্ণনগর থেকে ১২ টা ১৭-এ আসবে রানাঘাট লোকালটি। শিয়ালদহ থেকে বনগাঁর ট্রেনটি ছাড়বে রাত ১.২০ মিনিটে ও বনগাঁ থেকে ছাড়বে রাত ১১.৫৫ মিনিটে। শিয়ালদহ থেকে ডানকুনি লোকাল ছাড়বে রাত সাড়ে এগারোটার সময়। ১২.১৫-এর সময় ছাড়বে ডানকুনি থেকে। বারুইপুর থেকে শিয়ালদহ ও বজবজ থেকে শিয়ালদহে চলবে পাঁচটি বিশেষ ট্রেন।