‘একাকিত্বে ভুগছেন’, সঞ্জয়কে জেলের সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তরের দাবি আইনজীবীর
প্রতিদিন | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
অর্ণব আইচ: ‘আমি খুব একা’, আর জি কর মামলায় শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে কান্নাভেজা গলায় এমনই বললেন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাঁর একাকিত্বের যুক্তিতে একক সেলে নয়, সংশোধনাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তরের আবেদন করলেন আইনজীবী কবিতা সরকার। শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে আইনজীবীর এই আবেদনের পর বিচারক জানতে চান, কেন সঞ্জয়কে আর পাঁচজন বন্দির সঙ্গে রাখা হবে, যেখানে আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের মতো স্পর্শকাতর বিষয় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন? তাতে আইনজীবীর দাবি, সকলের সঙ্গে থাকলে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে পারবেন তাঁর মক্কেল, যা মামলার অগ্রগতির জন্য জরুরি।
শুক্রবার আর জি কর মামলার শুনানিতে শিয়ালদহ আদালতে ভারচুয়ালি হাজির করা হয়েছিল সঞ্জয়কে। জামিনের আবেদন জানিয়ে বিচারকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ”স্যর, আমায় জামিন দিন। আমি কিছু করিনি। যেখানে আমায় রাখা হয়েছে, আমি খুব একা।” বিচারক জানান, ”আপনার আইনজীবী এই আবেদন করেছেন।” এদিন সঞ্জয়ের আইনজীবী কবিতা সরকার তার জামিনের আবেদন জানান। বলেন, সঞ্জয় সেলে একাকীত্ব অনুভব করছে। তাই তাকে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখা হোক। যদিও এ বিষয়ে বিচারক কোনও নির্দেশ দেননি।
গত ৯ আগস্ট আর জি করে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। পরে মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর তাকে হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়। তবে নারকো পরীক্ষায় তিনি রাজি হননি। ফলে সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। ধৃতের আইনজীবী আদালতে বার বার দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। ঘটনার দিন তিনি যখন সেমিনার হলে ঢোকেন, তার আগেই তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি। তবে একাধিক বার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।