বাংলার ‘ধ্রুপদী’ স্বীকৃতি, দাড়িভিটের ২ ছাত্রকে শহিদের মর্যাদার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর
প্রতিদিন | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বহু লড়াইয়ের পর অবশেষে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেয়েছে বাংলা। বাঙালির প্রাণের উৎসবের আবহেই এসেছে সেই সুখবর। সকলে মেতেছেন উদযাপনে। আর এমনই সময় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী দাবি করলেন, এবার দাড়িভিট স্কুলে পুলিশের গুলিতে নিহত ২ ছাত্রকে ভাষা শহিদের মর্যাদা দেওয়া হোক। ৬ বছর আগে উর্দু ভাষা শিক্ষকের বদলে বাংলা শিক্ষকের দাবি করে তাদের মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। সুকান্তর দাবি, উত্তর দিনাজপুরের ওই স্কুলে ২ ছাত্রর শহিদ স্মারক তৈরি হোক।
ঘটনা বছর ছয় আগের। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের। উর্দু নয়, বাংলা ভাষার শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট হাই স্কুলের ছাত্ররা বিক্ষোভে নেমেছিল। তাতে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তাপস বর্মন ও রাজেশ সরকার নামে ২ ছাত্রের। তা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকারের নির্দেশে সিআইডি এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। কিন্তু রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার কাজে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিহতদের পরিবার এনআইএ তদন্তের দাবি তোলে। সেই তদন্ত চলছে এখনও।
তার পর ৬ বছর কেটে গিয়েছে। রাজেশ ও তাপসের স্মৃতি সৌধ তৈরি হয়নি। এবার সদ্যই ধ্রুপদী ভাষার সম্মান পেয়েছে বাংলা ভাষা। তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দাবি, সেদিন দাড়িভিটে দুই ছাত্র বাংলা ভাষার শিক্ষক চেয়ে গুলিতে মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের স্মরণে রাখাও কর্তব্য। এবার বাংলা ভাষা ‘ধ্রুপদী’র তকমা পাওয়ায় সুকান্তবাবুর দাবি, এবার রাজ্য সরকার ওই দুই সরকারকে ‘ভাষা শহিদ’-এর মর্যাদা দিক। দাড়িভিটে তৈরি হোক দুই ছাত্রের শহিদ স্মারক।