• ‘‌প্রত্যেকটা অভিযোগ তো জামিনযোগ্য’‌, সন্দীপ–অভিজিতের আইনজীবীর সওয়ালে চাপে সিবিআই
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
  • হাতে আর বেশি সময় নেই। আর পাঁচদিন পরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে সাজ সাজ রব। শহর থেকে গ্রামবাংলা দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে চূড়ান্ত ব্যস্ত। একের পর এক দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে আজ শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন। এই আবহে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার শিয়ালদা আদালতে এই দাবি করলেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর আইনজীবীর প্রশ্ন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কেমন করে একটি থানার ওসিকে গ্রেফতার করল সিবিআই?‌ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তোলা হয়েছে সে সবই জামিনযোগ্য।

    টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী আজ দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলিও জামিনযোগ্য। সেক্ষেত্রে তাঁকে অযথা আটকে রাখা হয়েছে। তবে সন্দীপ এবং অভিজিৎকে আজ আদালতে তোলা হয়। সিবিআই তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফাজত রাখার আবেদন করে। সিবিআইয়ের দাবি, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। এখন জামিন দেওয়া হলে সেসবের উপর প্রভাব খাটানোর আশঙ্কা থাকছে।


    সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী এবং অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর সাঁড়াশি চাপে বিশেষ জোরাল সওয়াল করতে পারেনি সিবিআই। শুধু প্রভাব খাটানোর কথা বলে জামিন আটকানোর চেষ্টা করেন। সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, সিবিআই ধরেই নিয়েছে যে তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হবে না। প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা তো জামিনযোগ্য। এরপরই জামিনযোগ্যের দাবি করলেন অভিজিতের আইনজীবী। তাঁর সওয়াল, ‘সিবিআইয়ের যেটা মনে হয়, সেটা আমাদের বলতে হবে। অভিজিতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি সিবিআই এনেছে সে সবগুলিই জামিনযোগ্য।’

    এরপর পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে বুঝতে পেরে চাপ তৈরি করতে থাকে সিবিআই। যেভাবে হোক জামিন আটকানোর চেষ্টা করেন। আর সেটা বুঝতে পেরেই তেতে ওঠেন সন্দীপ–অভিজিতের আইনজীবী। অভিজিতের আইনজীবী প্রশ্ন করেন, ‘‌আগাম রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়ে কেমন করে একজন কর্তব্যরত ওসিকে গ্রেফতার করলেন? প্রত্যেকটা অভিযোগ যা আনা হয়েছে সেগুলি জামিনযোগ্য। যে কোনও শর্তে আমার মক্কেলকে জামিন দিন।’ অভিজিৎ মণ্ডল নিজে আদালতে বলেন, ‘সিবিআই প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করছে। ওরা টালা থানা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছিল। তার ভিত্তিতে আমাকে গ্রেফতার করেছে। আমি টালা থানার ওসি ছিলাম। কিন্তু সেখানে সিসিটিভি নষ্টের কোনও অভিযোগ তো নেই।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)