কোচিং থেকে ফেরার পথে ন’বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ, খুন! পুকুরে দেহ, জয়নগরে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ
আনন্দবাজার | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
কোচিং সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ন’বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় এলাকার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার। মৃত শিশুটি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বাসিন্দারা। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ রয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। শুক্রবার বিষয়টিকে পুলিশ আমল দেয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। শনিবার সকাল থেকে জয়নগর থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে উত্তেজিত জনতা। থানায় ঢুকে ভাঙচুরও চালানো হয়েছে।
নিগৃহীতার পরিবার জানিয়েছে, প্রতি দিনের মতো শুক্রবারও সে মহিষমারিহাট এলাকায় টিউশন পড়তে গিয়েছিল। কাছেই বাজারে ছিল তার বাবার দোকান। টিউশন শেষে দোকানে বাবার সঙ্গে দেখাও করেছিল শিশুটি। তার পর একাই বাড়ি ফিরছিল। কিন্তু পথে তাকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার পর ফেলে দেওয়া হয়েছে পুকুরে।
শিশুর বাবা বলেছেন, ‘‘আমার সঙ্গেই দুপুরে মেয়ে পড়তে গিয়েছিল। ৫টার সময় ছুটি হয়। বাজারে আমার দোকানে এসে বলেও গেল, ‘বাবা আমি বাড়ি যাচ্ছি।’ ও রোজ একাই বাড়ি ফিরত। কিন্তু আমার মেয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। বাড়ি থেকে খবর পেয়ে আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। কোথাও পাইনি। পরে পুলিশ আমাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে পুকুরের মধ্যে আমার মেয়ের দেহ খুঁজে পেয়েছে। ওইটুকু বাচ্চাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। যে করেছে, তাকে আমরা চিনি। পাশের পাড়ায় থাকে সে। দোষীর যেন ফাঁসি হয়, আমরা সেটাই চাই।’’
মৃতের পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় জয়নগর থানায়। অভিযোগ, প্রথমে মহিষমারিতে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল পরিবার। সেখানে অভিযোগ গ্রহণ না করে তাদের জয়নগর থানায় যেতে বলা হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখলে শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যেত। রাতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এক যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, যুবক সাইকেলে করে শিশুটিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই যুবককে রাতেই আটক করেছে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শিশুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।