গৌরাঙ্গ সেতু পরিদর্শনে পূর্ত সচিব সহ অন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা
বর্তমান | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুতে ভোগান্তি অব্যহত। সেতুর বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গেলেন পূর্তদপ্তরের সচিব অন্তরা আচার্য। বৃহস্পতিবার সেতুর অবস্থা নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখতে হয় যান চলাচল। এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে পূর্ত সচিব কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ দলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞদের কর্মীদের নিয়ে সেতু পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ব্রিজে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার জন্যই কলকাতা থেকে আমাদের এক্সপার্ট টিম, সিনিয়র অফিসার, এক্সটার্নাল এক্সপার্টদের টিম নিয়ে এখানে পরিদর্শন করছি। তবে এটা আশ্বাস দিতে পারি ব্রিজ ভালো কন্ডিশনে আছে। পিডব্লিউডি সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। আপনারা আমাদের কাজে সহযোগিতা করুন। কম সময়ের মধ্যে এটা ঠিক হয়ে যাবে । ১৯৮২ সালে উদ্বোধন হয়েছে। কিছু সমস্যার কারণে সিনিয়র অফিসার, এক্সপার্টদের নিয়ে আসা হয়েছে। যেটা করার সেটা করা হবে। পুরনো ব্রিজের কিছু বিয়ারিং পার্টসের খানিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেগুলো তৈরি করতে হবে। জটিল এই যন্ত্রাংশ ডিজাইন করতে হবে, ওগুলো তো রেডিমেড কেনা যাবে না। পার্টসগুলো তৈরি করতে সময় লাগবে। পার্টসগুলো বিশেষ ধরনের মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি হয়। সেজন্য একটু সময় লাগবে। তবে বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এই ব্রিজটাকে পুরোপুরি ঠিক করতে একটু সময় লাগবে।
শুক্রবার সকালে নবদ্বীপ গৌরাঙ্গ সেতুতে গিয়ে দেখা গেল, মেরামতির কাজ চলছে। সেতুটির মাঝামাঝি অংশে ক্ষতি হয়েছে। সেই জায়গাটি বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। ব্রিজের ভেতরে নেমে সমস্ত কাজকর্ম খতিয়ে দেখছেন পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। নবদ্বীপ থানার পুলিস কর্মীরা যান নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেতুর একদিক দিয়ে হালকা যানবাহনগুলিকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে। দু’দিক থেকে অল্প সংখ্যক গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে সেতুর দু’ প্রান্তে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। যানজটে পড়তে হচ্ছে নবদ্বীপ শ্মশানে আসা শ্মশানযাত্রীদের, রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স চালকদেরও। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে গাড়ি চালকরা গৌরাঙ্গ সেতুর এই বেহাল পরিস্থিতির জন্য পূর্তদপ্তরের গাফিলতিকে দায়ী করছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গৌরাঙ্গ সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এদিন ভাগীরথীর ওপরে নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুর মাঝামাঝি অংশের দু’টি স্ল্যাবের সংযোগস্থলে ফিঙ্গার এক্সপ্যানশন জয়েন্টের প্লেট সরে যাওয়ায় এই বিপত্তি। তবে পুজোর মুখে এই ঘটনায় রীতিমতো সমস্যায় নদীয়া এবং বর্ধমান রুটের বাস চালক থেকে ব্যবসায়ীরা।