দুর্গাপুজোর আগে মানিকচকে আজ শেষ হাট, বাড়তি সতর্ক প্রশাসন
বর্তমান | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা, মানিকচক: গঙ্গায় জল বেড়েছে। পুজোর আগে মানিকচকে শেষ হাটে বহু মানুষের সমাগম ঘটবে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নামানো হলো এনডিআরএফের তিনটি দলকে। শনিবার পুজোর আগে শেষ হাট বসবে মানিকচকে। প্রচুর মানুষের সমাগম হবে। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া জানান, এনডিআরএফের তিনটি টিম ও ৪০ জন সিভিল ডিফেন্স সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে।
গঙ্গায় ১৫ সেন্টিমিটার জল বেড়ে গিয়েছে। যে কারণে শুক্রবার নতুন করে ভূতনিতে জল ঢুকে যায়। মূলত কালুটোনটোলা ও কেশরপুর দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে ভূতনিতে।
পুজোর আগে তাই আরও সতর্ক জেলা প্রশাসন। মালদহ জেলায় মোট চারটি এনডিআরএফ দল রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি দলকে ইতিমধ্যে মানিকচক ব্লকে মোতায়েন করা হয়েছে। ওই তিনটি দল থাকবে ভূতনির পুলিনটোলা, কাঁটাবাঁধ ও মানিকচকের ভূতনি সেতুতে। সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে থাকছে কিউআরটিও (কুইক রেসপন্স টিম)। তাদেরও বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মানিকচক ঘাটে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৪. ৯০ মিটার। যা বিপদসীমা থেকে ২১ সেন্টিমিটার বেশি। এদিন ইংলিশবাজারে মহানন্দার জলস্তর ছিল ২০.৯৮ মিটার। যা বিপদসীমা থেকে মাত্র ২ সেন্টিমিটার কম। জেলার আরেক নদী ফুলহারের জলস্তর ছিল ২৭.৮৯ মিটার। যা এই নদীর বিপদসীমা থেকে ৪৬ সেন্টিমিটার বেশি।
এদিকে গোপালপুরের কামালতিপুর গ্রামে জল নেমেছে। তবে শুরু হয়েছে ভাঙনের আতঙ্ক। প্রতিনিয়ত গঙ্গার পাড় ভাঙছে। অনেকে বাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরছেন। বাগানের ফাঁকা জায়গায় বাড়ির জিনিসপত্র ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। কামালতিপুর গ্রামে প্রায় ৫০০ বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে ২০০ পরিবার ক্ষতির মুখে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ নাঈমউদ্দিন বলেন, বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গা নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। ভয়ে বাড়িঘর ভাঙছি। বৃষ্টির মধ্যে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাতে হচ্ছে আমাদের। পুজোর আনন্দ তাদের কাছে ম্লান।