• শতক পেরনো পুজোর বাতাসে পাক খায় কলকাতার ইতিহাস, শহরের সেরা ১০ প্রাচীন পুজোর ঠিকানা
    আনন্দবাজার | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ০১
    শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপূজা: ১৭৫৭ সালে এই বাড়িতে রাজা নবকৃষ্ণ দেব প্রথম দুর্গাপুজোর সূচনা করেন।সনাতনী দশভুজা রূপেই এখানে পুজো করা হয় দুর্গাকে। প্রাচীন রীতিনীতি অনুযায়ী এখনও পালিত হয় এই উৎসব।

    ০২
    মল্লিক বাড়ির দুর্গোৎসব: খ্রিস্টীয় ১৫ শতকের দিকে নবাব হোসেন শাহের আমল থেকেই এই পুজো চলে আসছে। মল্লিক পরিবার তখন বৈষ্ণবধর্ম পালন করত। তাই পুজোও হতো বৈষ্ণব ধর্ম অনুসারে।আজও একই রীতিনীতিই মানা হয়।

    ০৩
    লাহা বাড়ির দুর্গোৎসব: কেউ কেউ বলেন, ১৭০ বছর আগে প্রাণকৃষ্ণ লাহার উদ্যোগে এই পুজো শুরু। আবার কারও কারও মতে, ২০০ বছর আগে প্রাণকৃষ্ণের পিতার হাতে এই পূজার সূচনা।

    ০৪
    সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপূজা: জমিদার লক্ষ্মীকান্ত মজুমদার ১৬১০ সালে প্রথম আটচালা প্রতিমা তৈরি করে এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেন বলে জানা যায়। এখানে প্রতিমার এক পাশে শিব ও অন্য পাশে রামের মূর্তি পুজো করা হয়।

    ০৫
    বাগবাজার হালদারবাড়ির দুর্গাপূজা: ৪৪৭ বছরেরও বেশি সময় থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। এখানে প্রতিমা বেলেপাথরের তৈরি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মূর্তিটি ৬০০ থেকে ৭০০ বছরের পুরনো।

    ০৬
    বদনচন্দ্রের পরিবারের দুর্গাপূজা: এই পুজো প্রায় ১৬০ বছর পুরনো। এই পরিবার এখনও প্রাচীন বৈষ্ণব রীতি মেনেই পূজা সম্পন্ন করে। পশু বলির বদলে ফল বলি দেওয়া হয় এখানে।

    ০৭
    ভবানীপুর দে বাড়ির দুর্গাপূজা: ১৮৭০ সালে এই পুজোর শুরু। যার মূল আকর্ষণ হল– এখানে মহিষাসুর ব্রিটিশ সৈন্যদের মতো কোট-প্যান্ট পরিহিত। শোনা যায়, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এ ভাবে মহিষাসুর নির্মিত হয়েছিল এই পুজোয়। সেই ঐতিহ্য আজও বজায় রাখা হয়েছে।

    ০৮
    শিবকৃষ্ণ দাঁ পরিবারের দুর্গাপূজা: ১৮৪০ সালে এই পূজার সূচনা শিবকৃষ্ণ দাঁয়ের পিতা গোকুলচন্দ্র দাঁয়ের হাত ধরে। সোনা-রুপোয় সজ্জিত দেবীমূর্তি এখানকার বিশেষ আকর্ষণ।

    ০৯
    ভূকৈলাশ রাজবাড়ির দুর্গোৎসব: প্রায় ৩০০ বছর আগে মহারাজা জয়নারায়ণ ঘোষাল খিদিরপুর অঞ্চলে ভূকৈলাশ রাজবাড়িতে এই পুজোর সূচনা করেন। এখানে প্রতিমা অষ্টধাতুর তৈরি।

    ১০
    ভোলানাথ ধাম:উত্তর কলকাতার ভোলানাথ ধামে ১৯০৫ সালে এই পূজা শুরু হয়। দুর্গা এখানে দশভুজা নন। শিবকে দেবীর স্বামী হিসাবে পুজো করা হয়। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)