স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, জয়নগরে পুলিশকে ঝাঁটা হাতে ধাওয়া, ফাঁড়ি ভাঙচুর স্থানীয়দের
প্রতিদিন | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে উত্তপ্ত জয়নগরের মহিষমারি। পুলিশকে ঝাঁটা হাতে ধাওয়া করেন স্থানীয়রা। পুলিশ ফাঁড়ি এবং অভিযুক্তের বাড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। এলাকায় দফায় দফায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা।
নিহত ওই পড়ুয়া জয়নগরের মহিষমারির কৃপাখালির বাসিন্দা। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া। শুক্রবার দুপুরে টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল। সন্ধে গড়িয়ে রাত হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি ফেরেনি সে। তাতেই দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেন বাড়ির লোকজন। জয়নগর থানায় যান ওই স্কুলছাত্রীর বাবা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের থেকে নিখোঁজ অভিযোগ নিতে কার্যত অস্বীকার করে পুলিশ। এর পর থানা থেকে ফিরে আসেন ছাত্রীর বাবা। গভীর রাতে বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি জলাজমি থেকে ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় তার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায় বলেই অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে।
এর পর খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে যায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পুলিশ আরও আগে তৎপর হলে স্কুলছাত্রী খুন হত না বলেই দাবি এলাকাবাসীর। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত স্থানীয়রা। ঝাঁটা হাতে পুলিশকে ধাওয়া করেন মহিলারা। একপ্রস্থ ঝাঁটাপেটাও করা হয় পুলিশকে। বারুইপুরের এসডিপিও-কে লাঠি হাতে ধাওয়া করেন মহিলারা। জয়নগরের মহিষমারি ফাঁড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। ফাঁড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেন স্থানীয়রা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। রাস্তায় জায়গায় জায়গায় বাঁশ ফেলে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাকিন সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। আপাতত উত্তপ্ত গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।