উৎসবের শহরে নিরাপত্তা কেমন, মোতায়েন কত পুলিশ বাহিনী? ‘গাইড ম্যাপ’ প্রকাশ সিপি বার্মার
প্রতিদিন | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার: পুজোর সময় শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উৎসবের মরশুমে শহরে গন্ডগোল, বিক্ষোভ রুখতে সবরকম ব্যবস্থাও নিয়ে রেখেছে লালবাজার কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার পুজোর গাইড ম্যাপ উদ্বোধনে লালবাজারে কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, “পুজোয় শহরে যাতে কোনওরকম গন্ডগোল না হয়। মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ঠাকুর দেখতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোথাও কোনও অসুবিধা হয় তা হলে পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করে সাহয্য চাইতে পারে। পুলিশ সবরকরম সহযোগিতা করবে।”
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রায় দুমাস ধরে রাস্তায় বিক্ষোভ-মিছিল-মিটিং চলছে। পুজোর মুখেও রাস্তায় আন্দোলন-প্রতিবাদে উত্তপ্ত থাকছে শহর। পুজোর দিনগুলিতে রাস্তা দখল করে আন্দোলন চলতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর মিলছে। এছাড়া মণ্ডপগুলিতেও গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। পুলিশের কাছেও সেই খবর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। এদিন সিপি বলেন, “সব ব্যবস্থা আমরা নিয়ে রেখেছি। আশা করি, পুজোয় কোথাও কোনও বাধা সৃষ্টি হবে না।” পুজোর সময় শান্তি বজায় রাখার জন্য শহরবাসীর কাছেও আবেদন করেন কমিশনার।
মহালয়া থেকে মণ্ডপ দর্শনে নেমে পড়েছে দর্শকরা। এবার শহরে পুলিশের অনুমতি পাওয়া মোট পুজোর সংখ্যা ১৯০৫টি। পুজোয় যান নিয়ন্ত্রণ করতে ১৮ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ১০৪ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার, ৫৫০ জন সার্জেন্ট ও সাব ইন্সপেক্টর, ৩৬০০ জন কনস্টেবল ও ৫৪০০ জন অস্থায়ী হোমগার্ড রাস্তায় মোতায়েন থাকবে। মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। পুজোর শহরে নিরাপত্তায় চতুর্থী থেকে রাস্তায় নামছে দশ হাজার পুলিশ বাহিনী। যার মধ্যে থাকছে ট্রাফিক, স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং গোয়েন্দা বিভাগ। ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক থাকছেন ৩৬জন। পিকেট থাকছে ২০০ টি। এইচআরএফএস (হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড) থাকছে ২৫টি। মণ্ডপগুলিতে ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হবে। বিসর্জনের দিন ঘাটেও থাকছে পুলিশের কড়া নজরদারি। দুর্ঘটনা রুখতে পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা টিম থাকছে।
এদিকে, পুজোর মুখে শহরে বানজারা গ্যাংয়ের মহিলাদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে অভিযোগ। উৎসবের মরশুমে ভিড়ে কেপমারি করছে এই মহিলারা। পুজোর মুখে অপরাধ দমন করতে কঠোর লালবাজার। মার্কেট, স্টেশন চত্বর-সহ বিভিন্ন জায়গায় গুন্ডাদমন টিম ও গোয়েন্দারা নজরদারি চালাচ্ছে। হোটেল, বারগুলিতেও হানা দিচ্ছে। লালবাজার সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৬ জন সন্দেহভাজন অপরাধী। এদের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ সেকশন। ধৃতদের মধ্যে ‘বানজারা গ্যাং’-এর মহিলা সদস্যরাও রয়েছে।