আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি যেখানে অনুদান ফিরিয়ে দিচ্ছে, সেখানে চেষ্টা করেও অনুদান না-মেলায় বন্ধ হয়ে গেল ময়ূরেশ্বরের রামকৃষ্ণপুর রামসায়র পাড়ের পুজো।
স্থানীয়েরা জানান, গ্রামে কোনও পুজো ছিল না। পুজো দেখতে যেতে হত ২-৩ কিমি দূরের মণ্ডপে। সেখানে সার্বিক ভাবে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই তিন বছর আগে চাঁদা তুলে নিজেরাই পুজো চালু করেছিলেন। আশা ছি,ল সরকারি অনুদান পেলে পুজো চালিয়ে নিয়ে যাবেন। প্রশাসনিক আশ্বাস মিললেও, অনুদান মেলেনি বলে অভিযোগ। তাই এ বার থেকে আর পুজো হবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে প্রায় ১০০টি আদিবাসী এবং তফসিলি পরিবারের বাস। অধিকাংশই দিনমজুর। তা সত্ত্বেও তিন বছর আগে নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে গ্রামের মনসাতলায় দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন তাঁরা। এ বার মনসাতলার নাটমন্দিরে পড়ে রয়েছে পুরনো কাঠামো।
পুজো কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ দাসের সঙ্গে নিমাই দাস, বঙ্কিম বাগদি, আনন্দ দাসেরা জানান, যা খরচ বেড়েছে, তাতে চাঁদা তুলে পুজো চালানো আর সম্ভব নয়। দশম শ্রেণির ছাত্র সঞ্জিত দাস, নবম শ্রেণির রাজদীপ রজক, অষ্টম শ্রেণির বৃষ্টি বায়েন, অনুরাধা রজকেরা জানায়, এ বার আমাদের বাইরে পুজো দেখতে যেতে হবে। মন ভাল নেই।
পুজো কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণধর দাসের সঙ্গে সোমনাথ দাস, হরেন বাসকিরা জানান, গত বছর সরকারি অনুদানের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র-সহ বিধায়কের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম। উনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু অনুদান পাইনি।
স্থানীয় ঢেকা পঞ্চায়েতের সদস্য আবুল আহাদ শেখ বলেন, ‘‘পুজোর উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিধায়কের কাছে গিয়েছিলাম। এ বারও তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। উনি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। একটা চালু পুজো বন্ধ হয়ে গেল বলে খারাপ লাগছে।’’ বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘‘ওই পুজো কমিটির আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নতুন করে কোনও অনুদান বরাদ্দ না হওয়ায় কিছু করা যায়নি।’’