বাংলাদেশে দুর্গোৎসবের আগে অশান্তির আশঙ্কা বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকায় পুজো কমিটিগুলিকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা উঠে আসছে সে দেশের সংবাদ মাধ্যমে। চলতি সপ্তাহেই রংপুর এলাকায় প্রতিমাভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। নির্বিঘ্নে দুর্গা পুজো করার দাবিতে পথে নেমেছেন সংখ্যালঘুরা। মণ্ডপে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা-সহ বিভিন্ন দাবিতেশুক্রবারও ঢাকার শহিদ মিনারে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠন। ঢাকায় ‘মানববন্ধন’ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করার আহ্বান জানাল নয়াদিল্লি। আজ এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “এই ধরনের হামলাগুলি সামাজিকসম্প্রীতির পক্ষে সঠিক বার্তা দেয় না। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা ভারত বার বার ঢাকার নেতৃত্বকে বলছে। পুজো মণ্ডপে হামলার বিষয়টিকে সে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা প্রয়োজন।”
ইউটিইউসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অশোক ঘোষ আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেদুর্গা পুজোর মুখে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতেতাঁর বক্তব্য, ‘বাংলাদেশে ২ কোটির বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। বাংলাদেশ তাঁদেরও মাতৃভূমি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বুঝেও ইউনূস সরকার নীরব। ফলে সংখ্যালঘুদের সামাজিক পরিসরে অস্বস্তি বাড়ছে।’ তিনি বেশ কিছু সাম্প্রতিক কালে প্রকাশিত সংবাদ উদ্ধৃত করে দেখিয়েছেন, দুর্গা পুজোনিয়ে কী ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হিন্দুরা।