জয়নগরে ছাত্রী খুনে তদন্তে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার পুলিশ সুপারের
এই সময় | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
পুলিশের বিরুদ্ধে ঠিক সময়ে পদক্ষেপ না করার অভিযোগ তুলেছিল জয়নগরে মৃত ছাত্রীর পরিবার। সেই অভিযোগ অস্বীকার করল পুলিশ। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করা হয় বলে জানালেন বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি। তিনি আরও জানান, খুনের কথা পুলিশি জেরায় কবুল করেছে অভিযুক্ত। ধর্ষণ কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে খুনের অভিযোগ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে ধুন্ধুমার। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে শনিবার সকালে এলাকায় প্রবল বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। থানা ভাঙচুর ও ফাঁড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগও ওঠে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু প্রথমে তাঁদের কথার গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করল পুলিশ।
বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি শনিবার বলেন, 'শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ মহিষমারি পুলিশ ক্যাম্প ছাত্রীর নিখোঁজ হওয়ার খবর পায়। এরপরেই তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ। কোন এলাকা থেকে মেয়েটি নিখোঁজ হয়, কে শেষবারের মতো তাকে দেখেছিল, সব বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। সেই সময় থেকেই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। জয়নগর থানায় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ অভিযোগ দায়ের করা হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'ভোরে আমরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করি। জেরায় সে নিজের দোষ স্বীকার করে। এরপর ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আমরা সব পদক্ষেপ দ্রুত করেছি। যা যা অভিযোগ পরিবার এবং স্থানীয়দের রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন ক্ষোভ রয়েছে, সেই বিষয়েও তদন্ত হচ্ছে।' থানা ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের শাস্তির জন্য পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে মহিষমারি এলাকায় জলাজমি থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া ৯ বছরের ওই শিশুটি দুপুরে কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। তার দেহ উদ্ধারের পরে শনিবার সকাল থেকেই জয়নগরে উত্তেজনা ছড়ায়। ইতিমধ্যেই এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপাতত এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশি টহল চলছে।