• প্রেমের পরিণতি নেই, 'সহমরণ' জামাই-বৌদির! ভয়ংকর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য...
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
  • সৌরভ চৌধুরী: প্রেমের পরিণতি নেই বুঝেই একসঙ্গে মৃত্যুকে বেছে নিল প্রেমিক-প্রেমিকা। ঝাড়গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ড শিরীষচক এলাকা থেকে উদ্ধার যুগলের মৃতদেহ। ঘড়ের অ্যাসবেসটস ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিস। ভিতরে বিছানায় তখন মৃত অবস্থায় পড়ে অপর্ণা সাউয়ের মৃতদেহ। মুখ থেকে গ্যাঁজলা বের হচ্ছে। আর তার পাশেই সিলিং থেকে ঝুলছে পিন্টু ঘড়ুইয়ের দেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠায়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমের পরিণতি নেই বুঝেই একসঙ্গে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছে দুজন। পিন্টু ঘড়ুই এবং অপর্ণা সাউ সম্পর্কে জামাই-বৌদি। পিন্টুর বাড়ি কলকাতায়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর সে কাজের খোঁজে ঝাড়গ্রামে চলে আসে। এখানেই ড্রাইভারি করে। বাড়ি ভাড়া নেয় শ্বশুরবাড়ির অদূরে শিরীষচক এলাকায়। পাশেই রাধানগর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি। শালা-বউ অপর্ণার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মাঝে মাঝেই পিন্টুর বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু হয়। বিষয়টা জানাজানি হওয়ায় পিন্টুর বাড়িওয়ালা অপর্ণাকে আসতে মানা করে দেয়।

    গতকাল বাড়িওয়ালা বাড়ি না থাকায় পিন্টু অপর্ণাকে বাড়িতে ডেকে নেয়। তারপরই এই চরম সিদ্ধান্ত। আজ সকালে বেলা বাড়লেও পিন্টু বাড়ির দরজা না খোলায় তাকে ডাকতে আসে লোকজন। ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় জানলা ফাঁক করে দেখে সিলিং থেকে ঝুলছে পিন্টু। খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানায়। পুলিস এসে ঘরে ঢুকলে দেখতে পায় শুধু পিন্টু নয়। মৃত্যু হয়েছে অপর্ণারও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনার পিছনে আর অন্য কোনও ঘটনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, অপর্ণাকে খুন করে হয়তো আত্মঘাতী হয়েছে পিন্টু। পুজোর আগে এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)