স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমের পরিণতি নেই বুঝেই একসঙ্গে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছে দুজন। পিন্টু ঘড়ুই এবং অপর্ণা সাউ সম্পর্কে জামাই-বৌদি। পিন্টুর বাড়ি কলকাতায়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর সে কাজের খোঁজে ঝাড়গ্রামে চলে আসে। এখানেই ড্রাইভারি করে। বাড়ি ভাড়া নেয় শ্বশুরবাড়ির অদূরে শিরীষচক এলাকায়। পাশেই রাধানগর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি। শালা-বউ অপর্ণার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মাঝে মাঝেই পিন্টুর বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু হয়। বিষয়টা জানাজানি হওয়ায় পিন্টুর বাড়িওয়ালা অপর্ণাকে আসতে মানা করে দেয়।
গতকাল বাড়িওয়ালা বাড়ি না থাকায় পিন্টু অপর্ণাকে বাড়িতে ডেকে নেয়। তারপরই এই চরম সিদ্ধান্ত। আজ সকালে বেলা বাড়লেও পিন্টু বাড়ির দরজা না খোলায় তাকে ডাকতে আসে লোকজন। ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় জানলা ফাঁক করে দেখে সিলিং থেকে ঝুলছে পিন্টু। খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানায়। পুলিস এসে ঘরে ঢুকলে দেখতে পায় শুধু পিন্টু নয়। মৃত্যু হয়েছে অপর্ণারও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এই ঘটনার পিছনে আর অন্য কোনও ঘটনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, অপর্ণাকে খুন করে হয়তো আত্মঘাতী হয়েছে পিন্টু। পুজোর আগে এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।