ভোজনারায়ণ চা বাগানের বাসিন্দা পরেশ কাছুয়া নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর সমস্যার কথা জানান কর্তব্যরত নার্সকে। অভিযোগ, সমস্যার কথা জানানোর পরও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল না। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ওই ব্যক্তি। নার্সকে মারতে উদ্যত হন তিনি।
যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই নার্স, পরেশবাবুর স্ত্রীকে দেখার জন্যই যাচ্ছিলেন। তার আগেই ওই ব্যক্তি লোহার রড তুলে তাঁকে মারতে উদ্যত হন। পরবর্তীতে হাসপাতালে থাকা অন্য নার্স এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা অভিযুক্তের হাত থেকে রড সরিয়ে নেন। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ঘটনার পর চিকিৎসক এবং নার্সদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। কর্তব্যরত নার্স সুলোচনা থাপা নামে বলেন, ‘প্রসূতি বিভাগে ভর্তি ওই মহিলার স্বামী হাসপাতালে চিৎকার চেঁচামেচি করে। তার স্ত্রীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আমি তারপরও তাকেই দেখতে যাচ্ছিলাম এই সময় উনি হাতে রড নিয়ে আমার পিছু নেই। মারতে উদ্যত হন। বাকি কর্মীরা তাকে সামাল দেন।’
খবর পেয়ে ছুটে আসেন ফাঁসিদেওয়ার বিএমওএইচ ডাঃ শাহানুর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তের স্ত্রী প্রসুতি বিভাগে ভর্তি। তার ব্যাথা হচ্ছিল৷ কিন্তু প্রসবের এখনও সময় রয়েছে। সেটাই তার পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু তার স্বামী উত্তেজিত হয়ে মারতে যায়। নিরাপত্তা রক্ষীরা আটকে দেয়। পুলিস এসে তাকে আটক করে মিয়ে গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। চারদিকে যা পরিস্থিতি চলছে তারপরও আমরা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছি। তাতে কোনও খামতি নেই। খানিকটা মদ্যপ অবস্থায় ছিল সে। এরপরও আমরা তার পরিবারের সাথে কথা বলে বিষটি সহমর্মীতার সাথে দেখব৷'