পিয়ালি মিত্র: রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি তাদের দাবিগুলি না মানা হয়, তারা নিজেদের জীবন বাজি রাখবেন। ওই মঞ্চ থেকেই তাঁরা আমরণ অনশনের দিকে এগোবেন। ধর্মতলায় ডাক্তারদের ওই জমায়েতের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার।
অনুমতি না নিয়ে ধর্মতলায় জমায়েত করায় জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিস। বেআইনি জমায়েত ও কর্তব্যরত পুলিস অফিসারদের নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে অজ্ঞাত পরিচিত উদ্যাক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল হেয়ার স্ট্রিট থানা।
উল্লেখ্য, পুলিসি হেনস্থার অভিযোগ তুলে গতকাল থেকে ধর্মতলাতে অবস্থান শুরু করে জুনিয়ার ডাক্তাররা। অবস্থানের জন্য অনুমতি চেয়ে পুলিসকে ইমেল করেন ডাক্তাররা। কিন্তু পাল্টা মেইল করে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় পুজোর সময় প্রচুর মানুষ শপিং করতে আসছে, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সেটি-ফলে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তা সত্বেও মেট্রো চ্যানেল অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা।
গতকাল বিকেলের পর থেকে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। জুনিয়র ডাক্তাররা ওয়াই চ্যনেলের কাছে মঞ্চ বাঁধার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তাঁদের পুলিস বাধা দেয়। অভিযোগ, ওইসময় কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারকে পুলিস হেনস্থা করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মতলা অবরোধ করেন। এরপরই তাঁরা পুলিসের কাছে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে ইমেইল করে। পাশাপাশি এও দাবি করা হয় হেনস্থা করার জন্য পুলিসকে ক্ষমা চাইতে হবে। এরপরই পুলিসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে জায়গায় অবস্থানের জন্য অনুমতি চাওয়া হচ্ছে সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। পুজোর সময় রাস্তায় প্রচুর লোকজন বেরোচ্ছেন। এই অবস্থায় ওই অনুমতি দেওয়া যাবে না। তার পরেও পুলিসের সেই কথা মানেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরেই জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিস।
গতকাল থেকেই জুনিয়র ডাক্তাররা বলে আসছেন পুলিস তাদের হেনস্থা করছে। এনিয়ে পুলিস জুনিয়র ডাক্তারদের জানিয়েছেন, যদি তাদের উপরে হামলা হয়ে থাকে তাহলে তারা এনিয়ে অভিযোগ করতে পারে। এনিয়ে তদন্ত হবে এবং প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি জুনিয়র ডাক্তাররা যাতে অনশনে না যান তার জন্য পুলিসের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধ করা হয়েছে।