ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব জুনিয়র চিকিৎসকরা। ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধরনায় বসেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের ধরনা কর্মসূচিতে ‘না’ কলকাতা পুলিশের। উৎসবের কথা মাথায় ই-মেল করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া শুক্রবারের চিকিৎসক হেনস্তার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে পুলিশ।
ই-মেলে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধরনা কর্মসূচিতে এমনিই ভিড় বেশি হওয়ার কথা। তার উপর পুজোর কেনাকাটির ফলে ধর্মতলায় বেশি মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে প্রতিমা দর্শনও শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। উৎসবের কথা মাথায় রেখে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলেই ই-মেলে সাফ উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার গত ৯ আগস্ট। প্রায় দুমাস ধরে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র ডাক্তাররা। একাধিক টালবাহানার পর মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। ঘটনার ৪১ দিনের মাথায় প্রথম দফায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর পর আংশিকভাবে কাজে ফেরেন তাঁরা। ইতিমধ্যে গত মাসের শেষে ফের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি হয়। সেই রাতেই জিবি মিটিং করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। শুক্রবার এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। এর পর ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধরনায় বসেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কাজে ফিরেছেন তাঁরা। তবে রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দেন। শনিবার রাত সাড়ে আটটার মধ্যে স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ-সহ ১০ দফা দাবিপূরণ না হলে আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের।