• কর্মী চেয়ে বিডিও-র চিঠি, নাকচ করলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার
    এই সময় | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
  • এই সময়, বাঁকুড়া: গ্রামীণ বাড়ির সমীক্ষায় সেচ দপ্তরের কর্মীদের কাজে চেয়ে বিডিও-র চিঠিতে বিতর্ক দানা বাধল বাঁকুড়ার সারেঙ্গায়। সেচ দপ্তরের কংসাবতী ক্যানাল সাব-ডিভিশন ৪-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে লেখা ওই চিঠিতে বিডিও সমীক্ষার কাজে ১৯ জন কর্মীকে চেয়ে পাঠান। বিডিও-র ওই চিঠির জবাবে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে সমীক্ষার কাজে সেচ দপ্তরের কোনও কর্মীকে ছাড়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সারেঙ্গার বিডিও-র। সেচ দপ্তরের ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা অফিসিয়াল ম্যাটার। বিষয়টি আমাদের সুপিরিয়রকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মিডিয়ার কাছে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’

    বিডিওকে লেখা ওই চিঠিতে সেচ দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, এমন চিঠি তাঁর দপ্তরের কাছে অবমাননাকর বলেই মনে হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, ২১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত সমীক্ষার সময়ে ক্যানাল পর্যবেক্ষণ, লকগেট খোলা, বন্ধ করা, জলের গতির পরিমাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকবেন সেচ দপ্তরের কর্মীরা।

    সেই কাজে ঢিলে দেওয়া হলে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। এর পরেই সমীক্ষার কাজে সেচ দপ্তরের কোনও কর্মীকে ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না বলে বিডিওকে তিনি জানিয়ে দেন।

    অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের এমন চিঠিতে চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঁকুড়ার প্রশাসনিক মহলে। শুক্রবার ওই চিঠি এক্স হ্যান্ডেল-এ পোস্ট করেন রাজ্য বিজেপির এক নেতা। সেখানে তিনি লেখেন, ডাক্তারদের পরে এ বার ইঞ্জিনিয়াররাও প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করলেন। তবে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সার্ভের কাজ নিয়ে কোনও অসুবিধা হবে না৷ জেলা প্রশাসনই সেই কাজ করবে।
  • Link to this news (এই সময়)