'সঞ্জয় রায়কে প্ররোচনা...', আরজি কর কাণ্ডে আদালতে লিখিত দিল CBI
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার তিন। তবে তাদের মধ্যে সরাসরি খুনের সঙ্গে জড়িত হিসেবে গ্রেফতার হয়েছে সঞ্জয় রায়। তবে এই সঞ্জয় রায়ই কি একমাত্র দোষী? এই প্রশ্ন সবার মনেই ঘুরছে বিগত প্রায় দুই মাস ধরে। এই আবহে শিয়ালদা আদালতে লিখিত আকারে সিবিআই জানিয়ে দিল, সঞ্জয় রায়কে এই ঘটনায় কেউ প্ররোচনা দিয়েছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া কেউ সঞ্জয়কে আশ্রয় দিয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কেন প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলে হয়েছিল, তারও তদন্ত চলছে।
এর আগে গত মাসে সংবাদ প্রতিদিনের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সিবিআই আধিকারিকরা নাকি তদন্তে মনে করছেন, সঞ্জয় রায়ের ঘাড়ে খুনের দায় চাপাতেই সেমিনার রুমে ডাকা হয়েছিল তাকে। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আরজি কর হাসপাতালের ওই তরুণী চিকিৎসককে খুন করে পরে তদন্তের নজর ঘোরাতে ধর্ষণের পরিকল্পনা ছকা হয়েছিল। এই আবহে সন্দীপের নারকো অ্যানালিসিস টেস্ট ও অভিজিতের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতি চেয়েছিল সিবিআইয়ের আইনজীবী।
সংবাদ প্রতিদিনের সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়, সিবিআই তদন্তকারীরা পারিপার্শ্বিক যে সব তথ্যপ্রমাণ পাচ্ছেন এবং হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মীর যে বয়ান তাঁরা রেকর্ড করেছেন, তাঁর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা মনে করছেন যে চিকিৎসককে খুন করাই মূল লক্ষ্য ছিল অপরাধীর। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ এবং রেকর্ড হওয়া বয়ান খতিয়ে দেখে নাকি সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন, জখম করে অচেতন অবস্থায় ওই তরুণী চিকিৎসককে সেমিনার হলে রেখে আসা হয়েছিল। এরপর খবর দেওয়া হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে। সেখানে সঞ্জয় যৌন অত্যাচার চালায় সেই চিকিৎসকের ওপর। পরে অন্য কারও নির্দেশেই হয়ত নির্যাতিতাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সঞ্জয়। তবে এই সবের আদালতগ্রাহ্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টায় আছে সিবিআই।
এদিকে গতকাল আদালতে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী এবং অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীরা দাবি করেন, শুধু প্রভাব খাটানোর কথা বলে জামিন আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রমাণ লোপাটের যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা তো জামিনযোগ্য। এদিকে অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলিও জামিনযোগ্য। সেক্ষেত্রে তাঁকে অযথা আটকে রাখা হয়েছে।