• পথ দেখাল এসএসকেএম! রাজ্যে প্রথম সম্পূর্ণ নিখরচায় সরকারি হাসপাতালে জন্ম হল ‘টেস্টটিউব বেবি’র
    আনন্দবাজার | ০৫ অক্টোবর ২০২৪
  • রাজ্যে প্রথম কোনও সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ নিখরচায় জন্ম হল ‘টেস্টটিউব বেবি’র। শুক্রবারই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম হয়েছে এক শিশুকন্যার। সদ্যোজাতের ওজন প্রায় তিন কেজির কাছাকাছি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মা এবং শিশু, দু’জনেই সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, প্রসূতির বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। নানা শারীরিক সমস্যা থাকায় স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণে নানা সমস্যা ছিল তাঁর। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম এসএসকেএমের ওপিডিতে আসেন ওই দম্পতি। এর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করেন মহিলা। শেষমেশ শুক্রবার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। শিশুটির ওজন প্রায় তিন কেজি। দীর্ঘ কয়েক বছরের চেষ্টার পর সন্তানের মুখ দেখতে পেরে মুখে হাসি ফুটেছে দম্পতির। হাসপাতালের চিকিৎসক বিশ্বনাথ ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘মা এবং সন্তান, দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন। গর্ভাবস্থায় মায়ের নানা শারীরিক জটিলতা ছিল। ধরা পড়েছিল ডায়াবিটিসও। কিন্তু, এসএসকেএম হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা হয়েছে। শুক্রবার ন্তান প্রসব করেছেন ওই মহিলা।’’

    ঘোষ দস্তিদার ইন্সটিটিউট অফ ফার্টিলিটি রিসার্চ (জিডিআইএফআর)-এর সহযোগিতায় গত দু’বছর ধরেই এসএসকেএমে এই উদ্যোগটি চলছে। উল্লেখ্য, যে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে আইভিএফ পদ্ধতিতে ভ্রূণ তৈরি যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ। এই পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি পর্যায় থাকে। প্রতিটি পর্যায়েই অন্তত দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়। তাতেও সাফল্যের হার খুব বেশি নয়। ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের চিকিৎসা সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। সে দিক থেকে সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে এই ধরনের চিকিৎসা হলে বহু গরিব নিঃসন্তান দম্পতিও পরিষেবা পাবেন। এসএসকেএমের চিকিৎসক গৌরীশঙ্কর কামিল্যা বলছেন, ‘‘বাইরে এই পদ্ধতিতে সন্তানধারণ অনেকটাই ব্যয়সাপেক্ষ। এই প্রথম কোনও সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে জন্ম হল টেস্টটিউব বেবির। আগামীতেও এই ভাবেই বিনাখরচে সন্তানের মুখ দেখবেন বহু নিঃসন্তান দম্পতি।’’ এই মুহূর্তে আরও ৩৫-৩৬ জন প্রসূতি রয়েছেন, যাঁরা আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভধারণ করেছেন। এসএসকেএম হাসপাতালেই তাঁদের নিয়মিত চিকিৎসা চলছে। সব ঠিকঠাক চললে আগামী কয়েক মাসে এসএসকেএমে জন্ম হবে আরও ‘টেস্টটিউব বেবি’র।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)