মিল্টন সেন, হুগলি: মণ্ডপ দর্শনে গিয়ে নামতে হবে পাতালে। দেখা মিলবে দশভুজা নয়, অষ্টদশ ভুজা দেবী দুর্গার। কেওটা নবীন সংঘের পুজোর থিম এবার প্রাচীন সভ্যতার ইতি কথা। দর্শণার্থীদের জন্য প্রতি বছরই নতুন নতুন চমক তুলে ধরে ব্যান্ডেল কেওটা নবীন সংঘ। এই বছর তাদের পুজো ৫২ তম বর্ষে পদার্পন করতে চলেছে। মণ্ডপ সজ্জার রন্ধে রন্ধে তুলে ধরা হয় হয়েছে প্রাচীন সভ্যতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
সিন্ধু সভ্যতা যেমন মাটির তলা থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল তেমনই এক প্রাচীন সভ্যতার খোঁজ মিলবে এই সংঘের পুজোয়। মণ্ডপে প্রবেশ করে সমতল থেকে বেশ কিছুটা মাটির তলায় নামতে হবে প্রতিমা দর্শনে। মণ্ডপের দেওয়ালে নানা পৌরানিক দেবদেবীর মূর্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গোটা মণ্ডপটাই তৈরি করা হয়েছে কংক্রিটে। মণ্ডপ নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে ইট, বালি এবং সিমেন্ট এবং শতাধিক কাঠের সিংহাসন। গেট পেরিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে বিশাল শিবের মূর্তি। তার দুদিক থেকে পথ চলে গিয়েছে মণ্ডপের দিকে। মাঝে জলাশয়ে নানান মাছের দেখা মিলবে। মণ্ডপের ভিতরে লাগানো হয়েছে প্রচুর গাছ।
পুজো কমিটির সম্পাদক গৌতম দাস জানিয়েছেন, গোটা মণ্ডপ তৈরি করতে যে পরিমান ইট, বালি, সিমেন্ট লেগেছে তা দিয়ে একটি দোতলা বাড়ি হয়ে যাবে। প্রায় ছয় মাস ধরে চলছে এই মণ্ডপ তৈরির কাজ। যদিও বৃষ্টির জন্য বেশ কিছুটা সমস্যা হয়েছে, তবুও মহালয়ের মধ্যেই মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষ করা হয়েছে। পুজোর থিম ভাবনায় নবদ্বীপ আর্ট কলেজের শিক্ষক রঙ্গজীব রায়।
এদিন রঙ্গজীব বাবু বলেছেন, এই মণ্ডপটি তৈরি করতে ১৫ জন শিল্পী দিন রাত কাজ করছেন। পাশাপাশি এই মণ্ডপে এই বছরে বিশেষত্ত হল দেবী দূর্গার এখানে আঠারোটি হাত। এই প্রসঙ্গে শিল্পী বলেন, মণ্ডপটি প্রাচীন সভ্যতা তুলে ধরছে এবং বিভিন্ন দেব দেবীর নানা রূপ তুলে ধরা হয়েছে। তাই প্রাচীন সভ্যতাকে কল্পনা করেই এই দেবীর মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এই বছরেও অনেক দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা।