ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর টাউন থানার অন্তর্গত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সেটেলমেন্টের নতুন বাজার এলাকায়। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। একটি পরিত্যক্ত রেলের কোয়ার্টার গেট বন্ধ ছিল, পিছন থেকে ভাঙাচোরা অবস্থায় ওই কোয়ার্টারের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ওই নাবালকের মৃতদেহ।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান দু থেকে তিন দিন আগে মেরে ওই পরিত্যক্ত ঘরটিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। যদিও পরিবারের তরফে নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয় থানায়। পচা দুর্গন্ধ বের হতেই স্থানীয়রা খবর দেয় থানায়। পুলিস গিয়ে উদ্ধার করে দেহটি।
পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, "এক নাবালকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সনাক্ত করে দিদি-সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের বাবা রেলওয়ে কর্মচারী ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির ছেলে চাকরি পাবে, অবিবাহিত মেয়ে থাকলে সেও চাকরির দাবিদার। কিন্তু বিয়ে হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে নাবালক ছেলে সাবালক হয়ে চাকরির দাবি জানালে সমস্যায় পড়বে দিদি। সেই কারণে খুন করতে পারে বলে অনুমান পুলিসের। পুলিসের কাছে নিখোঁজের অভিযোগ জানানোর পর অপহরণের বিষয় পরিবার থেকে জানতে পেরে পুলিস প্রথমে অপহরণের মামলার তদন্ত শুরু করে। পরে দেহ উদ্ধারের পর খুনের মামলায় তদন্ত শুরু করেছে। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
উল্লেখ্য, ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিস প্রথমেই মৃত নাবালক মনজিত সিংয়ের দিদি তার এবং তার পরিচিত বন্ধু এবং তার মাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিসের অনুমান ছিল কদিন আগেই বাবার রেলের চাকরি পেয়েছে দিদি। সেই ক্ষেত্রে কি দিদি কারো সঙ্গে মিলে ভাইয়ের খুন করতে পারে? সবটাই খতিয়ে দেখছিল খড়গপুর টাউন থানার পুলিস। তবে দিদি এবং মায়ের কথাতে প্রচুর অসংগতি পায় পুলিস।