আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের গোপালপুর চা বাগানের অজয় ওঁরাওয়ের স্ত্রীর চিকিৎসা চলছিল মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। গত জানুয়ারি মাস থেকে তিনি হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মত রোগীর কিছু শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবার মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয় রোগীকে।
সমস্ত রিপোর্ট দেখার পর চিকিৎসক ওই রোগীকে পিত্তথলির পাথরের অস্ত্রোপাচারের করাতে হবে বলে জানান। আর সেই মত ৩০শে সেপ্টেম্বর মালবাজার হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা হয় পরিবারের তরফে। ২ অক্টোবর সকাল ১১টায় রোগীর অস্ত্রোপাচার শুরু করেন ওই চিকিৎসক।
অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক অস্ত্রোপচার অসম্পূর্ণ রেখেই বাইরে বেরিয়ে এসে রোগীর পরিবারকে জানায় পিত্তথলির বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তাই তিনি অস্ত্রোপচার করতে পারবেন না। বর্তমানে সেই রোগী মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেই জানা গেছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর রোগীর শারীরিক অবস্থা জটিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাবার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
শনিবার রোগীর পরিবার আত্মীয় পরিজনেরা এসে হাসপাতালের সুপার সহ মালবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ডুয়ার্স তরাই মহিলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তরফে বিনীতা কুজুর টেটে অভিযোগ করেছেন, সমস্ত রিপোর্ট দেখার পর নিশ্চিত না হয়ে কেন চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করার উপদেশ দিয়েছেন? রোগীর কোন দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তার দায় নিতে হবে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এদিন হাসপাতালের সামনে এসে বহু মানুষ জমায়েত করেন। হাসপাতালের সুপারের অনুপস্থিতিতে ডেপুটি সুপার অভিযোগ পত্রটি জমা নেন। আদিবাসী সমাজের মানুষজন হাসপাতাল ঘেরাও করলে মালবাজার থানার আইসি সমীর তামাং এর নেতৃত্বে বিরাট পুলিস বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোন রকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি।