• ডেডলাইন শেষে আমরণ অনশনে জুনিয়ররা! নাম ঘোষণা ৬ জনের...
    ২৪ ঘন্টা | ০৬ অক্টোবর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি তাদের দাবিগুলি না মানা হয়, তারা নিজেদের জীবন বাজি রাখবেন। ওই মঞ্চ থেকেই তাঁরা আমরণ অনশনের দিকে এগোবেন। রাজ্য তাদের দাবি মেনে নেয়নি। রাজ্যকে দেওয়া ডেডলাইন শেষ, তাই এবার আমরন অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা! আপাতত ভাবে ৬ জন এই অনশনে বসছেন। 

    ধর্মতলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, "আমরা ৬ জন চিকিৎসক এখানে অনশনে বসছি। আমরা জানি, আমরা এখানে অনশনে বসলে আরও বাধা আসবে, তবুও আমরা এই অনশন চালিয়ে যাব। পুরো রাজ্যে মানুষ যেভাবে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন, তাতেই বোঝা যায় আমাদের দাবিগুলো কতটা যুক্তিপূর্ণ। এই লড়াই শুধু ডাক্তারদের নয়। সাধারণ মানুষ যেভাবে পাশে এসে যেভাবে দাঁড়াচ্ছেন, তাতে এই লড়াই আমরা জিতবোই।" কীভাবে তাঁরা তাদের অনশন তুলবেন? এ প্রসঙ্গে বলেন, "দুটো পয়েন্টে আমরা অনশন তুলবো। যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ হচ্ছে অথবা যতক্ষণ না আমাদের মৃত্যু হচ্ছে।" 

    অনশন করলে ডিউটি কারা করবে? সে প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, "যারা অনশন করবেন তাদেরকে কেউ ডিউটিতে যেতে বলতে পারেনা। তারা ছাড়া বাকি যে জুনিয়র ডাক্তাররা সাপোর্ট সিস্টেম হিসেবে পাশে থাকবেন তারা রোটেশন হিসেবে ডিউটি করবেন। আমাদের বৃহত্তর জুনিয়র ডাক্তার সমাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন।" আমরণ অনশনে বসলে শরীর খারাপ হলে সে দায় হবে সরকারেরই। সরাসরি জানিয়ে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বলেন, "যারা অনশনে বসছেন, তারা প্রত্যেকেই জানেন যে তারা ন্যায্য দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা প্রত্যেকে নিজের ব্যাপারে পুরোপুরি কনফিডেন্ট। এরপরেই কারোর যদি শরীর খারাপ হয়, তার দায় অবশ্যই রাজ্য সরকারের।" তবে অনশনে বসছেন যারা তাঁদের কেউ আরজি কর হাসপাতালের ছাত্র নয়। তাঁদের আরও বক্তব্য, "আমরা আমাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে কতটা দায়বদ্ধ, আমরা অনশন করে সেগুল মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই।" অনশনে বসছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুস্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া ও স্নিগ্ধা হাজরা, এসএসকেএম-এর অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যালের সায়ন্তনি, এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের কুলস্থ আচার্য। 

     

     

      

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)