জয়নগরে দশ বছরের বালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দফায় দফায় ফেটে পড়ে স্থানীয় মানুষজন। এলাকায় গিয়ে তাড়া খেতে হয় কুলতলির তৃণমূল বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মণ্ডলকে। সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল এলাকায় গেলে তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। পুলিসের ফাঁড়ি ও বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ছাত্রী নিখোঁজ কাণ্ডে পুলিস প্রথম অভিযোগ নিতে চায়নি, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় মানুষজনের দাবি ছিল, যেভাবে এই ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে তাতে অভিযুক্তরা যেন ধরা পড়ে। ঘটনার আসল সত্যতা বেরিয়ে আসে। ওই দাবিতে এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এলাকায় আসেন অগ্নিমিত্রা পাল, মীনাক্ষি মুখোপাধ্য়ায়, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়রা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমসিম খেতে হয় পুলিসকে।
এনিয়ে পুলিস সুপার বলেন, সরকার এই মামলা অত্যান্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ঠিক সময় তদন্ত শেষ করা হবে,। এর জন্য সর্বোচ্চ যে শাস্তি হয় তা দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। পুলিস ফাঁড়ির উপরে যে হামলা হয়েছে তারও তদন্ত হবে।
এদিকে এনিয়ে অভিনেতা দেব বলেন, ধর্ষকদের গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত। এমন একটা ভয় কাজ করা উচিত যাতে এই ঘটনা কেউ করার কথা না ভাবে। জয়নগরের ঘটনায় বারুইপুরে এমনই মন্তব্য করলেন অভিনেতা সাংসদ দের। যদিও তিনি বলেন তিনি একজন সাংসদ প্রকাশ্যে গুলি করে মেরে ফেলার কথা তিনি বলতে পারেন না। তবে সবাই মিলে এমন একটা দৃষ্টান্তমুলক পদক্ষেপ যাতে নেওয়া যায় তার কথা বলেন তিনি।